• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

মিঠামইনে সংখ্যা লঘু পরিবারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে তালা ঝুলানোর অভিযোগ


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ১২ আগষ্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০২:০৪ পিএম
মিঠামইনে সংখ্যা লঘু পরিবারের
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার অভিযোগ

বিজয় কর রতন, মিঠামইন (কিশোরগঞ্জ): মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের কৃষ্ণ নগরে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সংখ্যা লঘু পরিবারকে দেওয়া ঘরে জোর পূর্বক তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে ইউ,পি সদস্যের ছেলের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা হিরেন্দ্র দাস বাদী হয়ে মিঠামইন থানায় একই ইউনিয়নের সাবেক ইউ, পি সদস্য রৌফ ভুঁইয়া ও তার ছেলে জলিল ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

পুলিশ শুক্রবার (১১ আগষ্ট) সরজমিনে ঘটনার তদন্ত করেছেন বলে অভিযোগ কারি হিরেন্দ্র দাস জানান।জানা যায়, কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের সাবেক ইউ,পি সদস্য মো:রৌফ ভুঁইয়ার ছেলে জলিল ভুঁইয়ার বাড়িতে কৃষ্ণ নগরের বিনয় দাস নামে এক দিন মজুর ২ বছর পূর্বে ৭ মাসের জন্য ৬৫ হাজার টাকা ও ২৫ মণ ধানের বিনিময়ে চাকরি নেন।চাকরি নেওয়ার শুরুতেই বিনয় ৩৪ হাজার টাক অগ্রিম নিয়ে নেয়।৩ মাস কাজ করার পর বিনয় অসুস্থ হয়ে পড়লে জলিল ভুঁইয়া এসে জোর পূর্বক তাকে কাজে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কাজে না গেলে তাকে নানান ধরনের হুমকি দিতে থাকে।

এক পর্যায়ে বিনয় তার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর তার ভাই হিরেন্দ্র দাসকে দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়ে ভয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকায় চলে যায়। সে ঢাকা চলে যাওয়ার পর বিনয়ের সহোদর হিরেন্দ্র দাসকে জলিল ভুঁইয়া টাকা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।এমনকি জোর পূর্বক ঘর দখলের চেষ্টা চালায়।এতে হিরেন্দ্র বাঁধা দিলে তাকে হুমকি দেয়। পরে সে ভয়ে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে।২ বছর পর আবারও গত ৪ ই আগষ্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় জলিল ভুঁইয়া তার লোকজন নিয়ে ঘর দখল করতে আসলে হিরেন্দ্র এতে বাঁধা দিলে তাকে মারপিট করার হুমকি দেয়। পরে সে ভয়ে ঘটনা স্থল থেকে চলে যায়।জলিল বিনয়ের ঘরে জোর পূর্বক তালা ঝুলিয়ে ঘরের দখল নেয়।

অভিযোগকারী হিরেন্দ্র দাস জানান,২ বছর পূর্বে তার ভাই বিনয় দাস জলিল ভুঁইয়ার বাড়িতে ৭ মাসের জন্য চাকরি নেয়।চাকরি নেওয়ার সময় ৬৫ হাজার টাকা ও ২৫ মণ ধান ধার্য্য হয়।চাকরিতে যোগদানের পর অগ্রিম নগদ ৩৪ হাজার টাকা জলিল ভুঁইয়ার নিকট থেকে তার ভাই নেয়।৩ মাস কাজ করার পর বিনয় অসুস্থ হয়ে পড়লে বাকি ৪ মাস কাজ করতে পারেনি।তখন জলিল ভুঁইয়া তার ভাইকে জোর পূর্ব কাজে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এমনকি মারপিট করার হুমকি দেয় ভয়ে বিনয় পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকা চলে যায়। ভাই চলে যাওয়ার পর হিরেন্দ্র চাপ সৃষ্টি করলে, সে তার ভাইয়ের পক্ষে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি শেষ করেন।২ বছর পর আবার তার ভাইয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর জোর পূর্বক দখল নিতে আসে। এবং তালা ঝুলিয়ে দেয়। যাওয়ার সময় তাকে নানান ভাবে হুমকি দিয়ে যায়।পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।বর্তমানে সে পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

কৃষ্ণ নগরের আশ্রয় প্রকল্পের ২০ টি পরিবার বর্তমানে আতঙ্কে রয়েছেন।তিনি বিষয়টি স্হানীয় চেয়ারম্যান আবুল কাশেম কে অবগত করেছেন। তিনি সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন।কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: আবুল কাশেম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমাকে সংখ্যা লঘু পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন।এ ইউনিয়নের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর একটি প্রভাবশালী মহল দীর্ঘ দিন যাবৎ নানান ধরনের নিপিড়ন করে আসছে। তারা ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। এসকল ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হওয়া প্রয়োজন।এ অবস্থা চলতে থাকলে এলাকায় কোনো সংখ্যা লঘু পরিবার বসবাস করতে পারবে না।

তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসার জন্য বলেন।ওসি সাহেব নাকি বলেছেন থানায় বসে মিমাংসা করবেন।কিন্তু তিনি এটার পক্ষে নন।তিনি তাদেরকে সকল প্রকার সহযোগিতার কথা বলেন।মিঠামইন থানার ওসি কলিন্দ্র নাথ গোলদার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি একজন এস,আইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image