• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৩ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ বছর পূর্তিতে অনুষ্ঠানমালা


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৮:৫৭ পিএম
নবীন শিক্ষার্থীদের ভাবনা জানাচ্ছেন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক

মেহেদী হাসান কাওছার, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, জবি:  পুরান ঢাকায় অবস্থিত দেশের প্রাচীন বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে। গুটি গুটি পায়ে ১৮ বছর পেরিয়ে এখন ১৯ এর যৌবনে পদার্পণ করলো। সদ্য ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারনায় যেন আরও বেশি তারুণ্য ভর করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। জগা বাবুর এই পাঠশালা হিসেবে খ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের ভাবনা জানাচ্ছেন।

১. গৌরবের সাথে টিকে থাকুক প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয়

সোহানা চৌধুরী, দর্শন বিভাগ।

আঠারোর আবর্তনে শুভ হোক তোমার আঠারো থেকে উনিশতমতে পদার্পণ জবি। ব্যস্ত পুরাণ ঢাকার শান্ত বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আয়তনে ছোট হলেও এখানে প্রতিনিয়ত অধিকতর প্রাণসঞ্চার হয়। প্রায় দেড়শ বছরের পুরোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তথা একটা পাঠাগার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে ওঠার নজির ইতিহাসে নেই বললেই চলে। বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা এই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ ইতিহাস। এখানকার প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থীদের পদচারণায় প্রতিনিয়তই মুখোরিত হয় ক্লাসরুম, গণলাইব্রেরি, কাঁঠালতলা, শহীদ মিনার, শান্তচত্বর, ক্যাফিটেরিয়া ও টিএসসি।অল্পসময়ের মধ্যেই জবি গবেষণা, চাকরি পরিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের সঙ্গে অবদান রেখে চলেছে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে এটাই চাওয়া শুভ হোক তোমাতে অধ্যয়নরত প্রতিটা শিক্ষার্থীর স্বপ্ন যাতে তোমায় চিনে সারা বিশ্ব। এগিয়ে যাক প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয়। বেঁচে থাকুক জগন্নাথের আকাশে ঝলঝল করতে থাকা অপার সম্ভাবনাময়ী প্রতিটা গর্বিত জবিয়ান।

২. জবির প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই

মো আলিফ হাসান, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়! প্রতিটা শিক্ষার্থীর এক স্বপ্নের জায়গা।বাংলাদেশের এক অন্যতম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে কেউ সপ্ন নিয়ে আসে কেউ সপ্ন পূরন করে চলে যায়। ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর যাত্রা শুরু হয় আমাদের এই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের। সে প্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এই ২০ অক্টোবরকেই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। প্রতি বছরের ন্যায় এইবছরেও পালিত হতে যাচ্ছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। যার প্রেক্ষিতে নতুন সাজে সজ্জিত হয়ে উঠেছে আমাদের সপ্নের ক্যাম্পাস। প্রতিটা শিক্ষার্থীর ভেতর শুরু হয়েছে দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন চাওয়া পাওয়া। কেউ বলছে, সাদামাটা করেই হোক উদযাপন! আবার কেউ বলছে, না! অনেক আনুষ্ঠানিকভাবে হোক উদযাপন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সকাল ৯:৩০ ঘটিকায় আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবে এবং বিকাল ৫:৪৫ এ আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করবে। আমার কাছে এই জিনিসটা সবচেয়ে ভালো লেগেছে কারণ আনুষ্ঠানিকতা যদি রাতে শেষ করার পরিকল্পনা হতো তাহলে আমরা যারা ক্যাম্পাস থেকে দূরে থাকি তাদের বাসায় ফিরে যেতে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হতো। এজন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানাই ধন্যবাদ। পরিশেষে এই কামনা করি শুভ হোক! বিশ্ববিদ্যালয় দিবস, শুভ হোক! জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামীর পথচলা।

৩. আরও এগিয়ে যাক আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়

ফেরদৌসি ফিরোজ ফ্লোরা, ইতিহাস বিভাগ

বুড়িগঙ্গা নদীর অদূরে অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপ্রাচীন ইতিহাসে রয়েছে বহু পরিবর্তন ও ঘাত-প্রতিঘাতের সাক্ষ্য। ১৮৫৮ সালে ঢাকা ব্রাহ্ম স্কুল নামে যাত্রা শুরু করে ১৮৮৪ সালে এটি পরিবর্তিত হয় কলেজে।  সবশেষে ২০০৫ সালে জাতীয় সংসদে 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫' পাশের মাধ্যমে এটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়। সেই থেকে সব রকম সংকট ও প্রতিবন্ধকতা স্বীকার করেই শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের একতাবদ্ধ প্রচেষ্টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে। জবির প্রগতিশীল ও আধুনিক পাঠ্যক্রম, সহশিক্ষা কার্যক্রম এর বিভিন্ন সংগঠন, সেমিনার সে গতিতে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।  প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা, গবেষণাসহ সকল ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।  জবির ১৮তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে এই প্রার্থনা, "জয় হোক সকল শুভ প্রচেষ্টার, এগিয়ে চলুক প্রিয় জবি।"


৪. নতুন ক্যাম্পাস নতুন দিগন্তের সূচনা করবে

আব্দুল্লাহ আল আফনান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ।

অগ্রজদের কাছ থেকে নানা আনন্দঘন যেসব দিনগুলোর কথা শুনেছি তাঁর মধ্যে অন্যতম ছিলো "জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস"। প্রতিবছর ২০ অক্টোবর দিনটি পালন করা নানা উৎসবের আমেজে, নিত্য-নতুন নান্দনিকতায় বা সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে সঙ্গী করে। প্রাণের বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ বছরে পদার্পণ। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও গৌরবের আরেকটি অধ্যায়ের সূচনায় অতীতের সকল অপ্রাপ্তি, অপূর্নতা আর বাধা কাটিয়ে সাফল্যের সাথে সামনের দিকে এগিয়ে যাক ভালোবাসার 'জবি'।ভূমি অধিগ্রহণ কাজ শেষ, এখন শুধু দেশসেরা জবির নতুন ক্যাম্পাসের নতুন দিগন্তের উন্মোচন এর অপেক্ষায়। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে প্রিয় জবিকে শিক্ষা, সংস্কৃতি, গবেষণা, সুষ্ঠু রাজনীতিতে শুধু দেশসেরা নয় বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান হিসাবে দেখতে চাই। বহু আকাঙ্ক্ষিত, বহু প্রতিক্ষিত, বহু দিনের লালিত স্বপ্ন, একজন জবিয়ান হিসেবে, প্রিয় জবি তার সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখুক এবং নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাক, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে এটাই আমার প্রত্যাশা।

৫. জগন্নাথ আমার আবেগ, আমার ভালোবাসা

রাফীদ আদ-দ্বীন রাঈম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত পুরান ঢাকার একটি স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ যা ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আগে ১০০ বছরে এরও বেশি সময় ধরে জ্ঞানের পরশ বিতরণ করে আসছে জবি। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখেছিলাম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হবো। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার মাধ্যমে আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমার প্রাণপ্রিয় ক্যাম্পাস সাফল্যের দীর্ঘ ১৮টি বছর পার করে আজ ১৯ এ পা দিয়েছে। শুভ জন্মদিন আমার আবেগ আমার ভালোবাসার অপর নাম প্রাণপ্রিয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image