• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৩ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

দেশে নজিরবিহীন মূল্যস্ফীতি ঘটেছে: মোশাররফ


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ০৪ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০২:১৫ পিএম
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য প্রত্যেক
খন্দকার মোশাররফ হোসেন

নিউজ ডেস্ক:   নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নজিরবিহীন মূল্যস্ফীতি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।  ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে’ এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

দেশ একটা নীরব দুর্ভিক্ষের মধ্যে দিয়ে চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য প্রত্যেক দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত কয়েক দিনে চাল থেকে শুরু করে সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। নজিরবিহীন মূল্যস্ফীতি ঘটেছে। মূল্যস্ফীতি একদিকে, অন্যদিকে আমাদের টাকার মান কমে যাচ্ছে! এটা কীসের জন্য? এই দু:শাসনের জন্য।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীনরা যেহেতু গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে, সিন্ডিকেট করে সরকারে আছে আর ব্যবসা-বাণিজ্যও আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেটের হাতে। এই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট। তাই আওয়ামী লীগ সরকার এটা কোনোদিন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। তাই আজ বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। মানুষ এই সরকারে প্রতি বিক্ষুব্ধ। এই সরকারের প্রতি তারা আস্থা হারিয়েছে। এ কারণে জনগণ শিগগির এই সরকারের পতন চায়।

তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে শুরু করে বাংলাদেশের বিনির্মাণের ইতিহাসকে আজ বিকৃত করে মিথ্যা ইতিহাস প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে। আমাদের ছেলে-মেয়েদের স্কুলের পাঠ্য বইয়ে মিথ্যা শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নাই। এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আর গণতন্ত্র না থাকলে কোনো দেশে মানবাধিকার থাকে না। আমাদের দেশে গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মামলা, নির্যাতন এবং খুন- এসব গত ১২ বছর ধরে যেভাবে চলেছে, এমন উদাহরণ পৃথিবীতে কোথাও নেই।

তিনি বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কটের নির্বাচন ছিল। ১৫২ আসনে কোনো প্রার্থী ছিল না। সুতরাং জনগণের ভোটের প্রয়োজন হয়নি। তারপরে ২০১৮ সালে নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করেছে। আবার নতুন করে তারা ষড়যন্ত্র করছে। এভাবে আরেকটা পদ্ধতি তারা করেছে, সেটা আমরা বুঝতে পারছি। এবার ইভিএম যন্ত্রের মধ্যে চিফ ঢুকিয়ে দিয়ে আরেকটা কারচুপির চিন্তা-ভাবনা করছে।

এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image