মো: জহিরুল ইসলাম, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রাতের আধারে ইজারাকৃত মহল থেকে বালু পাচারের অভিযোগ করেছেন এক বৈধ ইজারাদার।
এতে বাধাঁ দেওয়াতে হামলা ও জানমাল রক্ষার দাবী জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন শহরের ক্যাথলিক মিশন রোডের বাসিন্দা ইজারাদার হাজী মো. মখন মিয়া (৭৫)।
সোমবার (১০ জুলাই) দুপুর ১টায় শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মখন মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন , ২০২১ সালের ২৪ মে, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কর্তৃক সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে উপজেলার লাংলিয়াছড়া, পুটিয়াছড়া ও ফুলছড়া বালু কোয়ারী ইজারা পাই। শ্রীমঙ্গল শহরের জালালিয়া সড়কের বাসিন্দা মো. ইউসুফ আলী রাতের অন্ধকারে আমার ইজারাকৃত পুটিয়াছড়া থেকে বালু উত্তোলন করে পাচার করে আসছেন। বিষয়টি আমি আমার ব্যবসায়ী অংশীদার ও সিলিকা বালু কোয়ারী পরিচালনাকারী মোঃ ফুল মিয়া মহালদার কে জানাই।
গত ৮ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মো. ফুল মিয়া মহালদার তাঁর নিজস্ব ফলদ বাগান থেকে শ্রীমঙ্গল শহরে ফেরার পথে সাইটুলা গ্রামে গিয়ে জানতে পারেন ইউসুফ আলীর আত্মীয় জালাল, কামাল, হারুন, সালাম, আলাল, সাজিদ, মাসুক, জুয়েল, সজীব, মোশাহিদ ও সোহেল সাথে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে পুটিয়া ছড়া থেকে বালু উত্তোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ অবস্থায় ফুল মিয়া মহালদার তাদেরকে বাধাঁ প্রদান করলে উল্লেখিত ব্যক্তিগণ ফুল মিয়া মহালদারের উপরে অর্তকিত হামলা চালায়।
মখন মিয়া অভিযোগ করেন, মো. ইউসুফ আলী দীর্ঘ ৮/১০ বছর যাবৎ একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে তাঁর নিজস্ব লোকজনদেরকে নিয়ে বিভিন্ন ছড়া থেকে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রয় করে আসছেন। এখন তিনি বৈধভাবে ইজারাকৃত ছড়াগুলো থেকেও রাতের অন্ধকারে বালু উত্তোলন করছেন।
ঘটনার পর শ্রীমঙ্গল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মখন মিয়া।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউসুফ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এমন ঘটনায় আমি জড়িত নয়।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: