আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পরও চলছে বিক্ষোভ । দেশজুড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতা চলছে। কারিফউ উপেক্ষা করেই ক্ষমতাসীন দলের এমপি-মন্ত্রীদের বাসভবনে হয়েছে হামলা, ঘটেছে আগুন দেওয়ার ঘটনা।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় সরকার সমর্থকদের। এর জেরে পদত্যাগ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। তবে এতেও দমেনি বিক্ষোভ। এখনো প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা।
চরম আর্থিক ও রাজনৈতিক সংকটে টালমাটাল শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি ক্রমেই যেন আরও জটিল হয়ে উঠছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে সোমবার (৯ মে) সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটে। দিনভর বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকার সমর্থকদের হামলার পর, সন্ধ্যার দিকে এর পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।
শ্রীলঙ্কার পত্রিকা ডেইলি মিরর জানায়, রাজধানী কলোম্বো থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে হাম্বানটোটায় মাহিন্দা রাজাপক্ষের পৈতৃক বাড়ি জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় অনেক এমপি ও সাবেক মন্ত্রীদের বাড়িতেও। এ ছাড়া দেশটির রাজনৈতিক দল এসএলপিপির নেতাকর্মীদের বাড়িঘর এবং যানবাহন পোড়ানো হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সোমবার (৯ মে) শ্রীলঙ্কাজুড়ে কারফিউ জারি করা হলেও তা উপেক্ষা করেই দিনভর রাস্তায় বিক্ষোভ চলে। তীব্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে পদত্যাগ করেন। এবার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
তারা বলেন, এই সরকার দুর্নীতিতে জর্জরিত। বর্তমান প্রেসিডেন্ট একজন দুর্নীতিবাজ। তাই সবার আগে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। দেশে কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না, ওষুধ নেই। অথচ আমাদের ওপর অস্ত্র প্রয়োগ করা হচ্ছে।
১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কা। কয়েক মাস ধরে খাবার, জ্বালানি ও ওষুধের তীব্র সংকটে ভুগছে দেশটি। ভয়াবহ বিদ্যুৎবিভ্রাটের কবলে সাধারণ মানুষ। এর প্রতিবাদেই এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে সাধারণ মানুষ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: