
মোহাম্মদ রুবেল
নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে। ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে-বর্ষা বন্দনা করতে গিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঘরের বাহিরে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কচিকাঁচাদের। যদিও সময় এখন সময়টা বর্ষার না হলেও অনেকটা শীতের আমেজ বইছে। এ অবস্থায় মাঝে মাঝে মিষ্টি রোদ উকিঝুঁকি মারছে। ফলে খানিকটা গরমও পড়ছে। এ যেন শীত যাই যাই বলে গরমকে স্বাগত জানাচ্ছে। এ আবহাওয়া উপেক্ষা করে প্রতিদিন বইমেলায় ভিড় করেছে কচিকাঁচা'র দল। মেলা প্রাঙ্গণে যেন "তিল ঠাঁই আর নাহিরে"। যা শিশু চত্বরে দুরন্ত শিশুদের অনন্ত উপস্থিতি করে তুলেছে অন্যরকম এক আনন্দঘন পরিবেশ।
শুক্রবার ছিল বইমেলার দশম দিনের তৃতীয় শিশুপ্রহর। বেলা ১১টা থেকে শিশু-কিশোররা অভিভাবকদের সঙ্গে লাইন ধরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশ গেটে প্রবেশ করে।
বাবা-মায়ের হাত ধরে সকাল সকাল বইমেলায় আসা মণিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ঢাকা নিউজ২৪ ডটকমকে জানান, বইমেলায় এসে খুব ভালো লাগছে। কয়েকটি বইও কিনলাম। ধানমন্ডির নালন্দা স্কুলের অঙ্কুর ক্লাসের শিক্ষার্থী বর্ণিতা বড়ুয়া অনেকক্ষণ খেলা করলাম। খুব ভালো লেগেছে।
বাবা-মায়েরা বলছেন, শিশু চত্বরের এ আয়োজন শিশুদের প্রতিভা বিকশিত করতে সহায়ক হবে। এ আয়োজন শুধু মেলাকেন্দ্রিক না করে স্কুলে স্কুলে ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে।
সরজমিনে শিশুচত্বরে প্রবেশ করেই মনেহলো এ যেন কোনো শিশুদের অঙ্গরাজ্য। যেখানে কেবল শিশু-কিশোরদেরই রাজত্ব। এ চত্বরে রয়েছে শিশু-কিশোরদের সায়েন্স ফিকশন, ভূতের গল্প, কৌতুক, ছড়াসহ নানান ধরনের সব বই। এছাড়া শিশুচত্বরে সিসিমপুরের প্রিয় চরিত্রগুলোর সঙ্গেও আনন্দে সময় পার করছে শিশুরা। পাশে দাঁড়িয়ে অভিভাবকরাও আনন্দ উপভোগ করছেন।
ঘাসফড়িং প্রকাশনীর প্রকাশক শ্যামল কুমার দাস বলেন, আনিসুল হক ও আহসান হাবীবের বইয়ের চাহিদা বেশি।
টুনটুনি প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী তাহমিনা আক্তার শান্তা জানান,সব বই বিক্রি হচ্ছে। তবে বিজ্ঞানবিষয়ক বই একটু বেশি বিক্রি হচ্ছে। সিসিমপুরের সমন্বয়ক সাব্বির আহমেদ বলেন, প্রতি শুক্র ও শনিবার সিসিমপুরের এ আয়োজন মেলার শেষ শনিবার পর্যন্ত থাকবে। শিশুদের আনন্দ দিতেই আমাদের এ আয়োজন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এম আর
আপনার মতামত লিখুন: