নিউজ ডেস্ক : মূল্যস্ফীতি জার্মানিতে বেড়েই চলেছে। গত কয়েক মাসে জার্মানিতে খাদ্যসামগ্রীসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের বাজারদর সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে।
রাশিয়া ইউক্রেন সংকট যতই গভীর হচ্ছে; ততই নানামুখী সংকটে আটকে যাচ্ছে জার্মানি। বিশেষ করে চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়ে চলা মূল্যস্ফীতি নিয়েও শঙ্কিত ওলাফ শলজের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার।
দেশটির ফেডারেল পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, জুন মাসে জার্মানিতে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি গিয়ে ঠেকেছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশে। মে মাসের তুলনায় যা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।
আর মূল্যস্ফীতির প্রভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দামে বেড়েছে প্রায় ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ। সেই সঙ্গে বেড়েছে জ্বালানি ও তামাকজাতীয় পণ্যের দামও। যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
অন্যদিকে দেশটির ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পকারখানায় ঋণসহায়ক সংস্থা ক্রেডিট রিফর্ম জানায়, জ্বালানি সংকটের কারণে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতিতে পড়ে জার্মানিতে বেশ কয়েকটি ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বড় প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যাবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। যা অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত। সংস্থাটির আশঙ্কা এই অবস্থা চলতে থাকলে আরও বেশ কয়েকটি পণ্য উৎপাদন প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে।
দেশটির পরিসংখ্যান ব্যুারো ডেস্টাটিজ জানায়, অর্থনীতিতে মন্দাভাব অব্যাহত থাকলে মূল্যস্ফীতি ঠেকানো মুশকিল। যার প্রভাব গিয়ে পড়বে জিডিপি বা মাথাপিছু আয়ে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, জার্মানির অর্থনীতিতে চলমান মন্দাভাব কাটাতে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারকে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় ঋণের বোঝা কমানোর পাশাপাশি আমদানি নির্ভর না হয়ে অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে মনোযোগ বাড়াতে হবে শলজ সরকারকেই।
দেশটির বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের কাঁধে ঋণের বোঝা এখন ১ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ২ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ইউরোর সমান।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: