রেজোওয়ান আলী, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: আইন মেনে সড়কে চলি নিরাপদে ঘরে ফিরি"এরই প্রতিপ্রাদ্য কে সামনে রেখে দিনাজপুর বিরামপুরে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হয়েছে। ২২ অক্টোবর দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলা অডিটোরিয়ামে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু,বিরামপুর পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলী,বিরামপুর থানা অফিসার ইনচার্জ সুমন কুমার মহন্ত,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডাঃ শ্যামল কুমার,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেজবাউল ইসলাম মন্ডল,উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম বানু,উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গন,বিরামপুর প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ আকরাম হোসেন সহ সকল সদস্যবৃন্দ,উপজেলা শহরে চলমান সকল অটোরিকশা ও অটো চার্জার ড্রাইভার ও মালিক গণ,উপজেলা অটো চার্জার মালিক ও শ্রমিক কমিটির সকল সদস্য গণ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত দিবসে সড়কে নিরাপদ যান চলাচলের উপর বিশোদ আলোচনা হয়েছে। এবিষয়ে পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলী বলেন, প্রতিটি অটোরিকশা চার্জার সিনজি সঠিক ও অতি তিক্ষ্ন দৃষ্টিতে গাড়ি চালাতে হবে।
সকলের মনে রাখতে হবে সময়ের চেয়ে জিবনের মুল্য অনেক বেশি। যাত্রী নিয়ে কোন সময় কেহ যেন তাড়াতাড়ি গাড়ি চালাচ্ছে যাবেনা। প্রয়োজন সড়কের পরিস্থিতি বুঝে গাড়ি চালানোর মন মানসিকতা থাকতে হবে। তারা আরও বলেন,সরকারের নিয়ম অনুযায়ী সকল গাড়ির লাইসেন্স নিতে হবে। উক্ত লাইসেন্স থাকা অবস্থায় বাংলাদেশের যে কোন জায়গায় কোন রকম সমস্যা হলে তাহা জোরালো ভাবে দেখা হবে বলে জানান।
এবিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু বলেন,আজকের দিবস কে কেন্দ্র করে সকল উপস্থিত ড্রাইভার গণ কে চেন অফ কমান্ড মেনে চালাতে হবে। উক্ত প্লানটি পৌর মেয়র ও থানা অফিসার ইনচার্জ সুমন কুমার মহন্তের সিন্ধান্ত নেওয়ার আহব্বান জানান। পাশাপাশি সকল ড্রাইভার গণকে নির্ধারিত ভাবে পোশাক থাকতে হবে,কোন দল দিনে বা রাত্রে চালাবে তাতে করে শহরের মাঝে কোন রকম যানযটের সৃষ্টি হবে না।
আজকের নিরাপদ সড়কে সকল কে চলাচলের উপর সরকারি ভাবে যত রকম নিয়ম কানুন রয়েছে তাহা সকলের মেনে চলা একান্ত কর্তব্য। পাশাপাশি সকল যাত্রীদের সাথে ভালো আচরণ দেখাতে হবে কেহ কখনো কোন যাত্রীর সাথে খারাপ আচরণ করা যাবেনা।
অনুষ্ঠানের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার বলেন,প্রতিদিন বাংলাদেশে সড়ক দূর্ঘনায় অনেক মানুষ মারা যায়। উক্ত সড়কে যারা মারা যান তাদের পরিবারের অবস্থা কি হতে পারে। এই সকল দূর্ঘনা হলে ড্রাইভার গনের বেশি দোষ হয়ে থাকে। এজন্য প্রয়োজন সকল ড্রাইভার গণকে নিতে হবে জোরালো প্রশিক্ষণ। তিনি আরও বলেন,এবারে আমরা অত্র উপজেলার সকল ড্রাইভার গণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্হা করা হবে।
উক্ত প্রশিক্ষণ ছাড়া কোন গাড়ি সড়কে চালানো যাবে না। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের প্রতি সম্মান ও সমর্থন সকলের কাম্য নিরাপদে বাড়ি থেকে বের হব এবং নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারি সেই ব্যবস্হা নিতে সকল প্রকার ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলা সমাজ অধিদপ্তরের আওতায় বিভিন্ন সংস্হা ও ব্যক্তির মাঝে অনুদান বিতরণ করেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: