নিউজ ডেস্ক : মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি কিছুটা কমেছে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে পরাস্ত করে আরাকান আর্মি সীমান্তে তাদের ক্যাম্প দখল করে নিয়েছে। নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার সময় প্রচণ্ড গোলাগুলি হয়েছে। এদিকে মিয়ানমার থেকে আরও ৬৪ জন বিজিপির সদস্য বাংলাদেশে ঢুকেছে।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে তারা ঢুকেছে। এ নিয়ে মিয়ানমার থেকে আসা বিজিপি, শুল্ক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্য দাঁড়াল ৩২৮-এ। এমনকি বিজিপির একটি ব্যাটালিয়নের অধিনায়কও পালিয়ে বাংলাদেশে ঢোকেন। তিনি লে. কর্নেল পদমর্যাদার।
তুমব্রু এলাকার সীমান্ত-লাগোয়া জনপদে বাস করেন এমন ১৫ জনের সঙ্গে গতকাল কথা বলেছে সমকাল। তাদের একই ভাষ্য, আরাকান আর্মি মিয়ানমার সীমান্তে বিজিপির কাছ থেকে ক্যাম্পের দখল পুরোপুরি নিয়ে গেছে। এ কারণে গোলাগুলির মাত্রা কমেছে। এখন হয়তো জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নতুন কোনো কৌশল নিতে পারে।
মিয়ানমারের সীমান্তরেখা সরকারি বাহিনীর হাতে নেই। নাইক্ষ্যংছড়ির ওপারে মিয়ানমারের যে সীমানারেখা থেকে শুরু করে টেকনাফের আগে হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহীরা নিয়েছে। এখন তারা টেকনাফের ওপারে মিয়ানমারের সীমানা ধরে এগোচ্ছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: