• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৮ জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

সর্বকনিষ্ঠ ২৬ বছর ১ মাস বয়সে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হলেন বিথী


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৩৫ এএম
সর্বকনিষ্ঠ ২৬ বছর ১ মাস বয়সে
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হলেন বিথী

নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলার পরিষদের ২য় ধাপে নির্বাচনে সারা দেশে নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আমেনা আক্তার বিথী সর্বকনিষ্ঠ। তার বয়স মাত্র ২৬ বছর ১ মাস।

আমেনা আক্তার বিথী ইডেন মহিলা কলেজ থেকে ২০১৭-২০১৮ সেশনের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেন। আমেনা আক্তার বিথী'র নির্বাচনীয় প্রতীক ছিলেন 'কলস'। নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি সর্বকনিষ্ঠ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রামগঞ্জ উপজেলার মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৬৪ হাজার। তাদের মধ্য থেকে ২৮ হাজার ৯২ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হোন।

আমেনা আক্তার বিথী'র বর্তমান বয়স ২৬ বছর ১ মাস, তার বাবা বিল্লাল হোসেন রামগঞ্জ উপজেলার ৩ নং ভাদুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য। ৩ ভাই বোনের মধ্যে তিনি একমাত্র বড় মেয়ে। তার স্বামী আরমান সাজিব স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাবেক ছাত্রনেতা।

গত ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমেনা আক্তার বিথী ২৮ হাজার ৯২ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে ফলাফলে নির্বাচিত হোন। কম বয়সে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়ে তিনি আনন্দিত। তিনি ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

নির্বাচনে আসার বিষয় জানতে চাইলে আমেনা আক্তার বিথী বলেন, ‘ বাবা টানা কয়েকবারের ইউপি সদস্য। আমি নিজেও ছাত্র জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে আসছি এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র লীগের কর্মী ছিলাম। আমার স্বামীও একজন সাবেক ছাত্র নেতা। ছোট বেলা থেকেই রাজনৈতিক পরিবারের বড় হওয়া, তাই সব সময় মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছেটা মনের মধ্যে কাজ করতো। অবশেষে সকলের সহায়তায় জয়ী হতে পেরেছি, আমি নারী অধিকার সহ তরুণ প্রজন্মের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করবো।

আমেনা আক্তার বিথী বলেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে পুরো উপজেলায় হেঁটে হেঁটে ভোটের প্রচার করেছি।

সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া এবং ভালোবাসা পেয়েছি। উপজেলার প্রায় ২৮ হাজার ৯২ জন মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছে। আমি সাধারণ মানুষ ও এলাকা উন্নয়নে কাজ করতে চাই। সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে থাকতে চাই।

তিনি আরো বলেন, স্থানীয় রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমকর্মীসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চাই। আমি বয়সে সর্বকনিষ্ঠ। যতটুকু পারি পরামর্শ প্রদানে কাজ করব।

জানা যায়, দেশের নির্বাচনী আইন অনুযায়ী প্রার্থীর ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর হলফনামায় যুক্ত করতে হয়। প্রার্থীর ন্যূনতম বয়স ২৫ না হলে হলফনামা ও নির্বাচনী কাগজপত্র অবৈধ ঘোষণা হয়।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image