• ঢাকা
  • শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৪ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

তরমুজ চাষে সফল জুড়ীর জালাল উদ্দীন


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:৩৬ পিএম
সফল জুড়ীর জালাল উদ্দীন
তরমুজ চাষ

আবিদ হোসাইন, জুড়ী (মৌলভীবাজার): দীর্ঘ দুই যুগ জালাল উদ্দিন প্রবাসে ছিলেন। জীবনের ২৪টি বছর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে কাটিয়ে দেন। প্রবাস জীবনে পরিবারের জন্য ভালো কিছু করতে পারেননি। তবে দেশে ফিরে কৃষি উদ্যোক্তা হয়ে দেখেছেন সফলতার মুখ।

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা জালাল উদ্দিন। করোনাকালীন সময়ে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন। এরপর বিভিন্ন ঝামেলায় প্রবাসে যাওয়ার প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। তখন তিনি নিঃস্ব হয়ে পড়েন। কোন উপায় না পেয়ে উদ্যোগ নেন কৃষিতে বাকি জীবন অতিবাহিত করবেন।

জালাল উদ্দিন বলেন, প্রথমে ধানের জমিতে মাল্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রথমে শসা দিয়ে শুধু করি। প্রথমেই সফলতার মুখ দেখেছি। পরে করোলা ও তরমুজ রোপন করেছেন। একের পর এক সফলতা নিয়ে তিনি এখন প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকার ও বেশি আয় হয়।

তিনি বলেন, শসা চাষের মাধ্যমেই শুরু করলেও পর্যায়ক্রমে চাষ করেন তরমুজ, করলা, লাউ, কাঁচা মরিচ ও বিদেশি ফল সাম্মাম সহ বিভিন্ন জাতের সবজি। সব কিছুতেই সফলতা আসে এই উদ্যোক্তার।

তিনি আরও বলেন, প্রায় ১৫ শতাংশ জমিতে তরমুজ আবাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন। এখন তার কৃষি খামারে শসা, করলা, লাউ ও কাঁচামরিচের পাশাপাশি প্রায় ৮০০পিছ তরমুজ ও ১২০ পিছ সাম্মাম রয়েছে।

জালাল উদ্দিন বলেন, কৃষিতে শিক্ষিত সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। যদি শিক্ষিত সমাজ কৃষিতে আসে তাহলে কৃষি ব্যবস্থাপনা আরো উন্নতি হবে। এই কৃষিকে পুঁজি করে একজন শিক্ষিত বেকার যুবক মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারবে।

পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের উপ-সহকারী  কৃষি কর্মকর্তা সুরঞ্জিত ধর রনি বলেন, যারা কৃষিকে পেশা হিসাবে নিতে চায় তারা গতানুগতিক পদ্ধতিতে না গিয়ে আধুনিক কৌশল প্রযুক্তি গ্রহণ করতে হবে। এবং সিজনাল ফসল না করে অগ্রিম চিন্তা করতে হবে। তাহলে লাভ বেশি হবে।

তিনি বলেন, জমিতে যত ফসল ফলাবেন মাটি তত উর্বর হবে। এজন্য পতিত জায়গাগুলোতে জালাল উদ্দিনের মতো মানুষজন কৃষিতে এগিয়ে আসলে নিজেরাই লাভবান হবেন। এবং নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তা তৈরী হবেন।

জুড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকতা মো: মাহমুদুল আলম খান বলেন, জালাল উদ্দিন যখন আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন তখন আমরা সিলেট উন্নয়ন প্রকল্প এর মাধ্যমে খরা মৌসুমের জন্য তাদেরকে পানির জন্য এলএলপি পাম্প এবং ১০০মিটার ফিতা পাইপ দেই। এনএটিপি প্রকল্প এর মালচিং শীট প্রদান করি। এ প্রযুক্তিতে সার ও পানির প্রয়োজন হয়না। যার ফলে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা লাভবান হয়।
তিনি বলেন, আমাদের উপজেলার প্রশিক্ষণগুলোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কৃষি সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে পারেন। এবং সেই অনুযায়ী কাজ করেন। জালাল উদ্দিনের মতো প্রবাস ফেরত ব্যক্তিদের কৃষিতে আমরা স্বাগত জানাই। এরকম লোকদের আমরা সর্বাত্বক সহযোগীতা করব।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image