• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৪ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

নিষেধের পরেও সরকারি জমিতে ফের পাকা বাড়ি নির্মাণ 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:০৯ পিএম
নিষেধের পরেও সরকারি জমিতে
ফের পাকা বাড়ি নির্মাণ 

কালাই প্রতিনিধি : জয়পুরহাটের কালাইয়ে সরকারি জমিতে বারবার নিষেধের পরও পাকা বাড়ি নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছেন।সরকারি জমিতে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নেই কোনো উদ্যোগ। উপজেলা প্রশাসন রীতিমত নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরেও কার্যতঃনেই কোনো বাস্তবায়ন।তবে এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের ভূমিকা আবাসনবাসীকে হতাশ করেছে।

শুক্রবার স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের তালোড়া-বাইগুনী গ্রামের পীরপুকুর আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা মৃত:সমসের আলী প্রধানের ছেলে আজিজুল ইসলাম(৫৫) তার বাড়ীর দক্ষিণ পার্শ্বে পতিত অবস্থায় পড়ে থাকা বর্তমান ৬০৭ নং দাগের ০৯ শতক সরকারি জমি স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের ম্যানেজ করে দখলে নিয়েছেন। অনেক আগে থেকেই আজিজুল ওই জমি ব্যবহার করে আসছিলেন। গত চার মাস পূর্বে  ওই জমিতে প্রায় দুই লক্ষ টাকা খরচ করে যখন তিনি পাকা বসতবাড়ী নির্মাণের কাজ শুরু করেন তখন আবাসনবাসিরা তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বসতবাড়ি নির্মাণের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।তখন বিষয়টি সাংবাদিকদের নজরে আসে।এবং এবিষয়ে মানবজমিনসহ কয়েকটি দৈনিক জাতীয় পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে।যারপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন উদয়পুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে সরঞ্জামাদি সরিয়ে নিতে বলেন।কিন্তু তিনি কোনো কথা কর্ণপাত না করে সরঞ্জামাদি সেখানে রেখেই কাজ বন্ধ করেন।

গোপন সংবাদ পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,দীর্ঘ চারমাস পরে প্রভাবশালীদের ইন্ধনে
আজিজুল ইসলাম ফেলে রাখা নির্মাণ কাজ আবারও শুরু করেন।তার এই কাজে বাঁধা দিতে গেলে আজিজুলের পরিবারের লোকজন আবাসন বাসিন্দা রাশেদা বেগম ও তার স্বামীকে বেদমভাবে মারধর করেন বলে জানিয়েছেন আবাসন বাসিন্দা আজিজার রহমান।মারধরের বিষয়ে রাশেদা বেগম ইউএনও অফিসে একটা অভিযোগও করেছেন।

 নিষেধের পরেও কেন নির্মাণ কাজ চলছে এমন প্রশ্নের জবাবে আজিজুল ইসলাম বলেন,অনেক মাতব্বর তাকে বলেছে।মাতব্বরের নাম জিজ্ঞেস করলে তাকে ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াজেদের ভাই ও মেম্বাররা অনেকেই পরামর্শ দিয়েছেন যে,বাড়ি কোনোমতে একবার হয়ে গেলে ইউএনও আর কিছুই করতে পারবেন না।ইউএনও অফিস থেকে ভাঙ্গার আদেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থাপনা এমনই রাখবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

সে তো বারবার স্থাপনার কাজ করেই যাচ্ছে, প্রশাসনিক কোনো দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাত আরা তিথি বলেন,সেই সুযোগ নেই।তারা দ্রুত লোক পাঠিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যবস্থা নেবেন। 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image