এম, ডি রেজওয়ান আলী, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে স্থানীয় বাজারগুলোতে ছোলা খেজুর ডিম ও মুড়ির মূল্য বৃদ্ধিতে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
১২ই মার্চ রবিবার দিনাজপুর বিরামপুরের বাজারগুলোতে আগাম পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ছোলা খেজুর চিড়া গুড় ডিম ও মুড়ির দাম বৃদ্ধিতে ক্রেতা ও বিক্রেতারা বিপাকে পড়েছে। রমজান মাস এলেই বাড়ে নিত্যপণ্যের দাম। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। রমজানের শুরুতে বিরামপুর শহরের হাট বাজার সহ সাতটি ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত সকল হাট বাজার ঘুরে জানা যায় সব নিত্য পণ্যের দাম অনেক বেশি। রমজানের ইফতারে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় ছোলা। এই ছোলার দাম রোজার শুরুতে ছিল ৯০ টাকা। একইভাবে চিনির দাম রোজার শুরুতে ১১০ টাকা। এ বিষয়ে শহরের বাজারের বিক্রেতাণ বলেন ছোলা আর চিনির দাম আমরা বাড়াইনি।
এটি পাইকারি বাজারে বেড়েছে বলে আমাদের বেশি দামে বেঁচতে হচ্ছে। উপজেলার প্রায় বাজারে মুড়ি ৬০ টাকা কেজি, ডিম ৩০ টাকা পাতা, গুড় ১৪০ টাকা কেজি, পক্ষান্তরে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কথা, আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে বলে তাঁদেরও বাড়াতে হয়েছে।
প্রায় হাট বাজারের বিক্রেতাগণ বলেন আন্তর্জাতিক বাজারে ছোলার দাম বেড়েছে। তাই তাঁদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আর এ জন্যই তিনি বেশি দামে বিক্রি করছেন।
এদিকে রমজান উপলক্ষে সরকারি প্রতিষ্ঠান নিত্যপণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ভারত থেকে আমদানি করা রসুনের দাম। রোজার শুরুতে এই রসুন প্রতি কেজি ৯০ টাকা। এখন সেই রসুন প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি রসুনের দাম ও অপরিবর্তিত রয়েছে। বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। পাইকারি বাজারে গেলে দোকানের মালিকেরা বলেন রসুনের আমদানি নাই,মাল কম তাই দাম বেশি। তিনি বলেন,চার দিন আগে তিনি ১০ কেজি রসুন এনেছেন,বিক্রি করেছেন মাত্র ২ কেজি। বেশি দামের কারণে মানুষ রসুন কম কিনছেন। ইফতারে বেগুনির চাহিদা বেশি তবে এখন পর্যন্ত বেগুনের মূল্য স্বাভাবিক রয়েছে। রোজার আগে কাঁচা মরিচ ছিল ৩০ টাকা পোয়া ১২০ টাকা কেজি। শসা ছিল ২০ টাকা,এখন তা ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি। ধনেপাতা ছিল ১২০,এখন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা,লেবু এক হালির দাম ছিল ২০ টাকা। এখন তা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পণ্যের দাম বাড়ছে কেন জানতে চাইলে রতনপুর বাজারের বিক্রেতা বলেন,রোজায় এগুলোর চাহিদা বেশি থাকে। আর মাল কম আসে বলে দাম বেশি। এতে আমাদের করার কিছুই নাই। তাঁর দাবি,দাম বেশি বলে পণ্য বিক্রি হচ্ছে কম। এতে তাঁরাও বেশি লাভ করতে পারছেন না। ইফতারের অন্যতম আরেক পণ্য হচ্ছে খেজুর। এই খেজুর রোজার আগে বিক্রি হয় সর্বনিম্ন ১৩০ টাকায়। সেই খেজুর এখন ১৬০ টাকা।
রমজান শুরু হলেই আমাদের দেশে পণ্যের দাম বাড়ে,এটি নতুন নয়। তবে শুনেছি অন্য দেশে বিভিন্ন উৎসবে দাম কমে। এই দাম বৃদ্ধির সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিয়মিত তদারকির নজরদারি বিশেষ প্রয়োজন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: