মোহাম্মদ রুবেল
বিএনপি দলীয় ৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশন যখন গেজেট পাবে তখন তার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেবে। অর্থাৎ গেজেট এর পরে ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করতে পারবে। এর আগে কিছু করার সুযোগ নেই।
রোববার দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মনে করি ইভিএম-এর মাধ্যমে ভোট হলে ভালো। প্রথমে অভিযোগ আসে ভোটে কারচুপি হয়েছে। যেহেতু ইভিএম-এ কারচুপির সুযোগ নেই, অতএব এই অভিযোগ করার সুযোগ নেই। যিনি ভোট পাবেন, তিনি জিতবেন। ইভিএম-এ আমরা যতগুলো নির্বাচন করেছি, কোনো অভিযোগ নেই কিন্তু যেখানে ব্যালটে ভোট হয় সেখানে নানা রকমের অভিযোগ করে। যদি আমাদের সমার্থ্য থাকতো, আমরা ৩০০ আসনে ইভিএম-এ নির্বাচন করতাম। আমাদের সমার্থ্য নেই জন্য আমরা বলেছি ১৫০টি আসনে করবো। এই সংখ্যা কমতে পারে।
বিএনপি ইভিএম-এর ওপর অনাস্থা এনেছে। আবার অনেকগুলো রাজনৈতিক দলের আস্থা আছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব কিছু বিবেচনা করে যেটি সঠিক মনে করবো, সেটিই করবো। হ্যাঁ, সবার পরামর্শ আমাদের শুনতে হবে কিন্তু শুনে আমাদের নিজস্ব বিচার-বিশ্লেষণ করতে হবে। বাংলাদেশে ৩৯টি রাজনৈতিক দল আছে, সবাই যদি বাতিল চায় তাহলে প্রক্রিয়া অনুযায়ী বাতিল হবে। গণতন্ত্র অনুযায়ী, সংখ্যা গরিষ্ঠের মত নিতে হবে—বলেন আলমগীর।
বিএনপি তাদের ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ থেকে দাবি জানিয়েছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন তারা চায় না। তাদের আস্থা জোগাতে কমিশন কোনো উদ্যোগ নেবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা উদ্যোগ নেব কাজ দিয়ে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে মূল্যায়ন করতে হবে তার কাজ দেখে। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পরে আমাদের কোনো পক্ষপাতিত্ব পেয়েছেন কি না সেটা দেখেন। আমরা সবার প্রতি সমআচরণ করছি কি না সেটা দেখতে হবে। এখন একটি রাজনৈতিক দল আরেকটি রাজনৈতিক দলের প্রতি তাদের চাওয়া-পাওয়ার সমস্যার কারণে যদি নির্বাচন কমিশনকে টার্গেট করা হয়, সেটা তো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। নির্বাচনের দেরি আছে, আমরা যখন যখন মনে করবো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন আছে আমরা তখনই আলোচনা করবো।'
ঢাকানিউজ২৪/আর
ঢাকানিউজ২৪.কম / মোহাম্মদ রুবেল
আপনার মতামত লিখুন: