নিউজ ডেস্ক: ভারতে গিয়ে আমি বলেছি, এই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে। “শেখ হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করার সেটা করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি।” পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই নিন্দিত-ঘৃনিত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণফোরাম সভাপতি জননেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন- বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে আঘাত করছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এটা রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ। অবিলম্বে মূল্যবোধহীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অব্যাহতি দিয়ে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য গ্রেপ্তার করতে হবে।
ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতার অবমাননা এদেশের জনগণ কখনও মানে নাই মানবেও না। ভারত আমাদের প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র কিন্তু মনে রাখতে হবে প্রভু নয়। এদেশের জনগণ কারো দাসত্ব কোনদিন মেনে নেয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো যেসকল রাষ্ট্রদ্রোহীরা দেশের জনগণ কে দাসত্বের শৃঙ্খল পড়াতে চায় তাদের ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করা হবে এবং জনতার আদালতে বিচার হবে।
গণফোরাম জোরদার দাবি করছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে জনগণের নিকট ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অব্যাহতি দিয়ে গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিচার সম্পন্ন করতে হবে।
২০১৪ সালের বিনা ভোটের ও ২০১৮ সালের রাতের ভোটের জতীয় সংসদ নির্বাচনে ভারত সরকারের ন্যাক্কারজনক হস্তক্ষেপে অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা দখল করে যা দেখে দেশবাসী হতবুদ্ধি-হতবিহ্বল হয়ে যায়। বিশ্ববাসীর কাছেও বিগত দুটি নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। পুনরায় জনগণের ভোটাধিকার হরণ করার ষড়যন্ত্র করছে। এবার জনগণ এই দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়ে নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: