
নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ : প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী ১৫০ সেতু, ১৪ টি ওভারপাস, স্বয়ংক্রিয় মোটরযান ফিটনেস পরীক্ষা কেন্দ্র, ডিটিসিএ ভবন, বিআরটিসি'র ময়মনসিংহ বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন।
এসময় তিনি ময়মনসিংহ জেলার কেওয়াটখালি ও রহমতপুর সেতুর নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন এবং দুর্ঘটনায় নিহত - আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ক্ষতিপূরণ প্রদান করবেন। এ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহ প্রান্তের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হবেন।
এ উপলক্ষ্যে বুধবার ( ১৮ অক্টোবর) ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিফিং করেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শওকত আলী।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয় নির্মিত ১৫০ টি সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৯৪৫৩.৫৩ মিটার ও নির্মাণ ব্যয় ৩৩৩৯.৩৭৩৬ কোটি টাকা। ময়মনসিংহ সড়ক জোনের অধীনে ৪০ টি সেতু উদ্বোধনের তালিকায় রয়েছে, যার সর্বমোট দৈর্ঘ্য ১৭০৩.৪৬ মিটার এবং ব্যয় ২৯৪.৯৮৬১ কোটি টাকা এবং ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগাধীন ২৩টি সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৯০৩.৯২ মিটার এবং ব্যয় ১৭৯.৬৮৫৬ কোটি টাকা। এসময় ব্রহ্মপুত্র নদের উপর রহমতপুর ও কেওয়াটখালী সেতুর নির্মাণ কাজেরও উদ্বোধন করা হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ময়মনসিংহের সড়ক ও জনপদ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শওকত আলী বলেন, কেওয়াটখালি ও রহমতপুর সেতু বাস্তবায়িত হলে ময়মনসিংহ জেলা সদরসহ নেত্রকোনা জেলার বিজয়পুর, শেরপুর জেলার নাকুগাঁও, ময়মনসিংহ জেলা হালুঘাট এবং জামালপুর জেলার ধানুয়া কামালপুর এর মত গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দরগুলোর সাথে রাজধানী ঢাকার নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জ জেলার হাওর অঞ্চলের সাথে মূল সড়ক নেটওয়ার্কের যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নের ফলে ময়মনসিংহ শহরের দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যমান যানজট নিরসনের সহায়ক হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ময়মনসিংহে জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজার রহমানসহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: