নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় প্রান্তিকেও অপ্রত্যাশিতভাবে সংকুচিত হয়ে পড়েছে মার্কিন অর্থনীতি। ভোক্তা ব্যয়ও গেল দুই বছরের মধ্যে বেড়েছে। ব্যবসায়িক খরচও কমে যাচ্ছে। অর্থনীতি ইতোমধ্যে মন্দার মধ্যে পড়ে গেছে বলে মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে যে ধারণা তৈরি হয়েছে, সেই শঙ্কা আরও বেড়ে গেছে। খবর রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দ্য ব্যুরো অব ইকোনমিক অ্যানালাইসিস এমন খবর দিয়েছে। এপ্রিল থেকে জুনে বার্ষিক ভিত্তিতে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ পড়ে গেছে। জিডিপির ভিত্তিতে সাধারণত একটি দেশের অর্থনৈতিক তৎপরতা হিসাব করা হয়। পরপর দুই প্রান্তিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হলে অনানুষ্ঠানিকভাবে তাকে মন্দা হিসেবে অভিহিত করা হয়।
সামনে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন। কাজেই এই মন্দার আভাস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশটির প্রবৃদ্ধির নিম্নমুখিতা বিশ্বের জন্যও খারাপ পরিণতি বয়ে আনতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।
যদিও জো বাইডেন দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে কোনো আঘাত সইতে হবে না। অর্থাৎ, পরপর দুই প্রান্তিকে অর্থনৈতিক নেতিবাচক ফল এলেও তাতে তার দেশকে ভুগতে হবে না বলে মনে করেন তিনি।
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে জিডিপি কমে গিয়েছিল ১ দশমিক ৬ শতাংশ। খবরে বলা হয়, দ্বিতীয় প্রান্তিকে সব পর্যায়ে সরকারি খরচ কমে গেছে। আর গাড়ি নির্মাণসহ বিভিন্ন পণ্যে ও আবাসিক খাতে বিনিয়োগ পড়ে গেছে। যদিও এ সময় দেশটির রফতানি বেড়েছে।
টরন্টোর বিএমও ক্যাপিটাল মার্কেটসের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ স্যাল গুয়াতেইরি বলেন, অর্থনীতি মন্দার কবলে পড়ার সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে আছে। এতে সেপ্টেম্বরে আরেকবার সুদহার বাড়ানো থেকে নিরুৎসাহিত হবে ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ড।
মার্কিন ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের মতে, অর্থনৈতিক তৎপরতা মারাত্মকভাবে কমে গেলে এবং তা যদি কয়েক মাসের বেশি স্থায়ী ঘটে, বিশেষ করে উৎপাদন, কর্মসংস্থান, মুদ্রাস্ফীতির হিসাবের বাইরের আয় ও অন্য সূচকগুলো নিম্নমুখী থাকলে মুদ্রাস্ফীতি ঘটে।
বছরের প্রথম অর্ধেকে প্রতিমাসে গড় কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ছিল ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭০০ করে। এতে মানুষের আয়ের সূচক অবশ্য ভালো দেখিয়েছে। কিন্তু প্রবৃদ্ধির নিম্নমুখিতার ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছেই।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাড়ি নির্মাণ ও ফ্ল্যাট বিক্রি কমে গেছে এবং ভোক্তাদের মানসিকতা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। মার্কিন স্টক মার্কেটের স্বাস্থ্য ভালো যাচ্ছে না। তবে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিপরীতে ডলার স্থিতিশীল।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: