
জাফর আলম, কক্সবাজার: হত্যা, নারী অপহরণ, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন, ইয়াবা পাচার, মানি লন্ডারিং, সরকারি কর্মকর্তাদের উপর হামলাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগের পাহাড় মাথায় নিয়ে অজস্র মামলার আসামি হয়েও কক্সবাজারে দাপিয়ে বেড়ান তিনি।দীর্ঘদিন আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অপরাধ সাম্রাজ্য চালিয়ে নিতে সক্ষম হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হন কক্সবাজারে টেকনাফের বহুল আলোচিত ‘ইয়াবা পরিবারের’ সদস্য, কোটিপতি চবি ছাত্র নামে পরিচিত রবিউল আলম ওরফে রইব্যা।
র্যাব সুত্রে জানায়, শুক্রবার ভোরে র্যাব ১৫ কক্সবাজার ক্যাম্পের একটি দল কক্সবাজার পৌর শহরের কলাতলী ডিসি পাহাড় এলাকায় চিরুনি অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অসংখ্য মামলার এজাহারভুক্ত ও কর্ণফুলী থানার একটি মাদক মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি রবিউল বাসার পেছন দরজা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন।
এ সময় র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে তাকে গ্রেফতার করেন।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত রবিউল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
একজন ছাত্র হয়েও তার ব্যাংক একাউন্টে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পত্রিকায় প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়।রবিউলদের গ্রামের বাড়ি টেকনাফ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের নাজিরপাড়ায়।
বছরখানেক পূর্ব থেকে তারা সপরিবার কক্সবাজার পৌরসভার কলাতলী ডিসি পাহাড় এলাকায় বসবাস শুরু করেন।রবিউল, তার বড় ভাই ফরিদুল আলম এবং তার বাবা সিদ্দিক আহমেদ প্রত্যেকেই ক্রমিক অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত এবং ১০-১৫টি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। রবিউলের বিরুদ্ধে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন থানায় দুইটি হত্যা, দুইটি অস্ত্র আইনের মামলাসহ নারী অপহরণ, মানি লন্ডারিং, ইয়াবা পাচারের অসংখ্য মামলা রয়েছে।
র্যাব ১৫ কক্সবাজার ক্যাম্পের কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, দীর্ঘদিন লেগে থাকার পর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা রবিউলকে আটক করতে সক্ষম হই। আটক রবিউলকে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য কক্সবাজার সদর থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: