• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০২ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

নতুন কালো আইন প্রণয়ন করে গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরতে চায় সরকার: ডিইউজে


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ০৯ আগষ্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:৫৬ পিএম
সাইবার সিকিউরিটি আইন বাতিলের দাবি
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) নেতৃবৃন্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্প্রতি মন্ত্রী পরিষদে অনুমোদন হওয়া সাইবার সিকিউরিটি আইন গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরতে প্রণয়ন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) একাংশ। 

বুধবার (০৯ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস সামনে সাইবার সিকিউরিটি আইন বাতিলের দাবী জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন। 

ডিইউজের সভাপতি খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি বক্তব্যে বাংলাদেশ সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজ) সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন গাজী বলেন, সাংবাদিকদের তথা গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরতে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম বদলিয়ে সাইবার সিকিউরিটি আইন প্রণয়ন করেছে। ওই আইনে কয়েকটি ধারার মধ্যে শাস্তির তারতম্য ঘটলেও মূল বিষয় একই রয়ে গেছে। বর্তমান সরকারের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য এবং লুটেরাদের বিরুদ্ধে যেন সাংবাদিকরা কথা না বলতে পারে, যেন লিখতে না পারে এজন্যই ওই আইনটি প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে দেশের সাংবাদিক বুদ্ধিজীবী মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক মহলের বারবার উদ্বেগের পরেও ওই আইনটির খোলস পাল্টিয়ে তা উপস্থাপন করা হয়েছে সে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে শহিদুল ইসলাম বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মধ্য দিয়ে আপনাদের সাবধান করে দেয়া হয়েছে। রাস্তার পাশে একজন ছিনতাইকারী গণপিটুনিতে মারা গেলে আপনি সেই নিউজ করতে গেলে ১০বার ভাবতে হবে। কারণ তার মা গিয়ে আদালতে যদি মামলা করে যে ছিনতাইকারী শব্দ লেখায় আমার ছেলের মানহানি হয়েছে তবে আপনার ২৫ লাখ টাকা জরিমান গুনতে হবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের নাম পরিবর্তন করে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছেন। এই আইন সংবিধান পরিপন্থী। রাতের ভোটের সরকারকে টিকিয়ে রাখতে এই আইন করা হয়েছে। এই আইন সাংবাদিক সমাজ মানে না।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ বলেন, সরকার আজ পর্যন্ত কোন সাংবাদিক হত্যার বিচার করতে পারেনি। কোন সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার করতে পারেনি। তবুও বারবার সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার জন্য আইন প্রণয়ন করে যাচ্ছে। একের পর এক কালো আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের তথা দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতাকে হরণ করে যাচ্ছে। তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সদ্য প্রণীত সাইবার সিকিউরিটি আইন সহ সকল কালা কানুন বাতিলের দাবি জানান তিনি ।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, যখন ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমত গড়ে উঠেছে তখন এই সরকার নামটা কেবল পরিবর্তন করে নতুন আইন চালু করলেন। যেখানে নিপীড়নমূলক সকল ধারাগুলো রেখে দিয়েছেন। এই আইনের মাধ্যমে সরকার সাংবাদিক সমাজের সাথে মিথ্যাচার করেছে। আমরা এই সরকারের পতন ঘটিয়ে এর জবাব দিবো।

খুরশীদ আলম বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বিরুদ্ধে সারা বিশ্ব যখন প্রতিবাদ মুখর তখন সরকার নমনীয়তা দেখিয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম তারা ডিজিটাল কালো আইন বাতিল করবে। কিন্তু তা না করে সরকার এদেশের মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে, ভাঁওতাবাজির আশ্রয় নিয়েছে। তাই আমি এসকল কালো আইন প্রত্যাখ্যান করছি।

সৈয়দ আবদাল আহমেদ বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের নাম বদলে সাইবার আইনে ২৫লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। মোটকথা এই সরকার গত ১৫বছর যাবৎ সরকার একের পর এক ধোকাবাজি ও প্রতারণা করে আসছে। তাই আজকে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে হলে এসব আইন বাতিল করতে হবে। তাই যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলছে তার বিজয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।

সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আব্দাল আহমদ, সাবেক সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজি, বিএফইউজের সহ-সভাপতি সিনিয়র সহ-সভাপতি মোদাব্বের হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি শাহীন হাসনাত, বর্তমান যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাহিদ খান, কোষাধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ খাইরুল বাশার ডিইউজের দপ্তর সম্পাদক ইকবাল মজুমদার তৌহিদ নির্বাহী সদস্য আবু বকর, ডিইউজের নির্বাহী সদস্য এম মোশাররফ হোসাইন প্রমূখসহ নেতৃবৃন্দ।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image