নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগ কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের ডাক দিয়েছে। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয় ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, সকাল সাতটায় হঠাৎ করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে তালা দিয়ে কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে স্লোগান দিতে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটিতে পদবঞ্চিতরা। সেই সাথে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও প্রদর্শন করে তারা। একই সঙ্গে তারা শহর থেকে শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
ট্রেন আটকে দেয়ায় নগরীর ষোল শহর ও বটতলি স্টেশনে আটকা পড়েন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সময়মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছাতে না পারায় বিভিন্ন অনুষদের ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। বার বার ছাত্রলীগের এ ধরনের আন্দোলন কর্মসূচির কারণে শিক্ষা জীবন নিয়ে শঙ্কিত সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
২০১৯ সালে রেজাউল হক রুবেলকে সভাপতি ও ইকবাল টিপুকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর তিন বছর পর এ বছরের জুলাইয়ে তা পূর্ণাঙ্গ করা হয়। যেখানে ৩৭৬ জনকে পদ দেয়া হয়। এ কমিটিতে অনেক ত্যাগী কর্মী মূল্যায়িত হয়নি দাবি করে আন্দোলন শুরু করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের একাংশ।
ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ পাওয়া সহসভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করা ও বিতর্কিতদের বাদ না দেয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে। প্রশাসনের অনুরোধে পাঁচ ঘণ্টা পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক খুলে দিয়েছি; কিন্তু অবরোধ চলবে।
ছাত্রলীগের আরেক সহসভাপতি রাকিবুল হাসান দিনার জানান, বিতর্কিত যারা কমিটিতে স্থান পেয়েছে তাদের বাদ দিতে হবে। যেসব ত্যাগী নেতা কমিটিতে পদ পায়নি তাদের মূল্যায়ন করার জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য বেনু কুমার দে বলেন, আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে, শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
তিনি জানান, যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: