• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০২ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বঙ্গমাতা রাজনীতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত দূরদর্শী ছিলেনঃ শেখ কবির হোসেন 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ০৯ আগষ্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২:৪৮ পিএম
বঙ্গমাতা রাজনীতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত দূরদর্শী ছিলেন 
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্

ষ্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স এ্যাসোসিয়েশন এর সম্মানিত সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্য জনাব শেখ কবির হোসেন বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁকে সহযোগিতা করেছেন বঙ্গমাতা। বঙ্গমাতা রাজনীতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত দূরদর্শী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু যখন জেলে ছিলেন তখন আন্দোলন ও দলকে বঙ্গমাতাই পরিচালনা করতেন। বঙ্গমাতা যেমন এদেশের মা তেমন তিনি পরিবারেরও মাতা ছিলেন। তিনি আমাকে মাতৃস্নেহে লালন পালন করেছেন। দলের কর্মী ও নেতাদের তিনি সব সময় আগলে রেখেছেন। দলের নেতা কর্মীদের তিনি নিজ হাতে রান্না করে খাবার খাওয়াতেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের নারী সমাজ বঙ্গমাতার জীবন ও আদর্শ অনুসরণ করলে এই দেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে। বঙ্গমাতার জীবন আদর্শ ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দিতে হবে।' 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার মাতার সন্তান বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। একই সাথে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে হলে তাঁকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়ও রাখতে হবে।  

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলে শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক  ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক শ্যামল দত্ত। 

সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক  ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, উদার, সাহসী, পরিশ্রমী, দৃঢ়চেতা মনের মানুষ ছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তিনি এতটা সাহসী ছিলেন যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও নিজের জীবনের জন্য মাথা নত করেন নি। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের সকল ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন বঙ্গমাতা। বঙ্গমাতার রাজনৈতিক দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। মাননীয় উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে পাঠ্যপুস্তকে বঙ্গমাতার জীবনীকে অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানান। একই সাথে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতাসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের যারা হত্যা করেছে সেই খুনিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করার আহ্বান। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, রাজনৈতিক জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন দূরদর্শী রাজনীতির অমর বিজ্ঞানী। বঙ্গমাতার রাজনৈতিক দূরদর্শীতা ও প্রজ্ঞা নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত। বঙ্গমাতা যেমন বঙ্গবন্ধুর জীবনের সকল ক্ষেত্রে সহায়তা করেছেন একই সাথে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে মূল্যবান পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছেন। 

আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন)  অধ্যাপক ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান খান,  প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, হল প্রোভোস্ট অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তাফা জামান, অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ্, অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক  ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ডা. ইন্দ্রিজিৎ কুমার কুন্ডু, অতিরিক্ত পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় চেয়ারম্যানগণ, শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট গণ, কর্মকর্তা, নার্স, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image