• ঢাকা
  • শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৪ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

আটোয়ারীতে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ০৮ আগষ্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০২:৪২ পিএম
আটোয়ারীতে
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত

মোঃ ইউসুফ আলী, আটোয়ারী (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী সারা দেশের ন্যায় পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতেও বিভিন্ন কর্মসুচির মধ্যেমে পালিত হয়েছে। 

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকালে উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ ও তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসুচির সুচনা করা হয়। 

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মুসফিকুল আলম হালিম এর সভাপতিত্বে  উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্বাধীকার আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে অসহায় নির্যাতিত নারীদের সহায়তা ও পুনর্বাসনে ভুমিকা সহ বঙ্গমাতার জীবনী ভিত্তিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার লুৎফুল কবির মোঃ কামরুল হাসান এর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শায়লা সাঈদ তন্বী, ওসি মোঃ সোহেল রানা, উপজেলা কৃষি অফিসার নুরজাহান খাতুন, মেডিকেল অফিসার ডা. রশিদা আক্তার রেশমা, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নজরুল ইসলাম প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর  সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বঙ্গমাতার ডাক নাম ছিল রেণু। বাবার নাম শেখ জহুরুল হক ও মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম। এক ভাই-দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বত্রিশ নম্বরের বাড়িতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তিন সন্তান ও পুত্রবধুদের সঙ্গে নির্মমভাবে শাহাদতবরণ করেন। টুঙ্গিপাড়ার সন্তান শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আপসহীন লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে বাঙ্গালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মহান স্থপতি, জাতির জনক এবং বিশ্ববরেণ্য রাষ্ট্রনায়কে পরিনত হয়েছিলেন। এই সাফল্য- সংগ্রামের পেছনে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করেছিলেন তারই সহধর্মিনী, মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবনে ছায়ার মতো অনুসরণ করে তার প্রতিটি কর্মকান্ডে অফুরান প্রেরণার উৎস হয়েছিলেন বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব। বাঙ্গালী জাতির মুক্তি সনদ ছয় দফা ঘোষনার পর বঙ্গবন্ধু যখন বারবার পাকিস্তানি শাসকদের হাতে বন্দি ছিলেন, তখন দলের সর্বস্তরের নেতাকমী বঙ্গমাতার কাছে ছুটে আসতেন।

তিনি তাদের বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিকনির্দেশনা বুঝিয়ে দিতেন এবং লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা যোগাতেন। বিশেষ করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় প্যারোলে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি নিয়ে একটি কুচক্রি মহল বাঙ্গলী জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। তখন প্যারোলে মুক্তির বিপক্ষে বেগম মুজিবের দৃঢ়চেতা অবস্থান বাঙ্গালীর মুক্তি সংগ্রামকে ত্বারান্বিত করেছিল। আলোচনা শেষে বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১২ জন দরিদ্র নারীকে বিনামূল্যে ১২ টি সেলাই মেশিন এবং ৯৩জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৯৩টি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।
 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image