• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৩ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

খাগড়াছড়ির ভূয়াছড়িতে শিক্ষকের নির্যাতনে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ আগষ্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৫১ এএম
খাগড়াছড়ির ভূয়াছড়িতে শিক্ষকের নির্যাতনে মাদ্রাসা ছাত্রের
মৃত্যু

রিপন সরকার, খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি  জেলা সদরের কমলছড়ি ইউনিয়নের ভূয়াছড়ি বায়তুল আমান ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ আমিনুল ইসলাম কর্তৃক পাশবিক নির্যাতনে হেফজ বিভাগে পড়ুয়া মোঃ আব্দুর রহমান আবির (৮) নামক  এক ছাত্রের মৃত হয়। এতে করে ভেস্তে গেল আবিরের হাফেজ হওয়ার স্বপ্ন। ২৭ আগষ্ট রাত আনুমানিক ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। 

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২৭ আগস্ট রবিবার রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে উক্ত মাদ্রাসার  শিক্ষক নিজেই শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন এবং ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করলে, মুহূর্তেই এ শিক্ষক হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। শিশুটির শরীরের একাধিক স্থানে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

আব্দুর রহমান আবির খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার আইয়ুব নগর এলাকার গার্মেন্টস শ্রমিক সরোয়ার হোসেন ও আমেনা বেগমের ছেলে। তাদের স্বপ্ন ছিলো ছেলেকে হাফেজ ও বড় মাওলানা বানাবেন। কিন্তু তাদের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেছে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে আবির এমন কথাই বলছিলেন   নিহতের আত্মীয়-স্বজনরা। 
ঘাতক শিক্ষক আমিনুল ইসলাম খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার গচ্ছাবিল এলাকার মৃত পিসি দেলোয়ার হোসেন এর ছেলে। 

মর্মান্তিক এ ঘটনার খবর পেয়ে ২৭ আগস্ট রবিবার আনুমানিক রাত ১০ টার দিকে বাইতুল আমান ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও হেফজ বিভাগে, খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আরিফুর রহমানসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত হয়ে মাদ্রাসায় অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ঘাতক শিক্ষক আমিনুল ইসলাম সম্পর্কে জিজ্ঞাস করা হলে শিক্ষার্থীরা জানান ‘ ঘাতক শিক্ষক আমিনুল ইসলাম প্রায় সময়ই বিনা অজুহাতেই আমাদের উপর পাশবিক নির্যাতন করেন। শিক্ষার্থীরা আরো জানায়, ২৫ আগস্ট শুক্রবার থেকে শিশু শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান আবির(৮)কে বেশি মারধর করেন এবং এ বিষয়ে কাউকে কিছু না জানানোর জন্য অপরাপর শিক্ষার্থীদের কড়াকড়ি ভাবে নির্দেশ দেন ঘাতক শিক্ষক আমিনুল ইসলাম। পরদিন ২৬ আগস্ট শনিবার আবারও বিদ্যুৎতের তার দিয়ে বেদম মারধর করেন এবং শাস্তি হিসেবে একটি বক্সের ভিতর ৪০ মিনিট আটকিয়ে রাখে আব্দুর রহমান আবিরকে। এতে কোন সাড়াশব্দ না পাওয়ায়া আরেক শিক্ষার্থী বিষয়টি গুরুত্বর ভেবে বক্সটি খুলে আবিরকে উদ্ধার করে।

তারপর থেকে শুরু হয় আবিরের জ্বর ও বমি, শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলেও তাকে চিকিৎসা করায় নি ঘাতক শিক্ষক। কিন্তু মারধরের ভয় দেখিয়ে নিজের করা বমি খেতে হয়েছে আবিরকে। ঘাতক শিক্ষকের অতিরিক্ত নির্যাতনের কারণে ঝরে গেল  নিষ্পাপ শিশুর প্রাণ। এমন নির্মম হত্যাকান্ডের জন্য আসামীকে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানান এলাকাবাসী।

খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আরিফুর রহমান বলেন আজ ২৮ আগষ্ট  নিহত আবিরের পিতা সদর থানায় বাদী হয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করতে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি অভিযান চলছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image