নিউজ ডেস্ক : খুচরা বাজারে দাম বাড়ানোর পরও খোলা চিনি মিলছে না। এমনকি নতুন দরে বোতলজাত সয়াবিন তেলও মিলছে না। এখনও ক্রেতাদের বেশি দামেই খোলা সয়াবিন কিনতে হচ্ছে। এদিকে চাহিদা বাড়ায় সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত মুরগির দাম বেড়েছে।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা কমিয়ে ১৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। অথচ শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সকালেও খুচরা বিক্রেতারা জানান, এখনও সব কোম্পানি বাজারে নতুন দামের তেল সরবরাহ করেনি। আবার খোলা সয়াবিনের নির্ধারিত দাম ১৫৮ টাকা হলেও ২ থেকে ৭ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে নির্ধারিত দামের চেয়ে কম দামে পাম তেল বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে নতুন দামের তেল সরবরাহ না হওয়ার বিষয়ে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের খুচরা বিক্রেতারা বলেন, আমরা এখনও ডিলারদের থেকে নতুন দামের সয়াবিন তেল পাইনি। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) তেলের দাম কমানো হয়েছে। কিন্তু অনেক কোম্পানি এখনও নতুন দামের তেল সরবরাহ করেনি। তেলের দাম বাড়লে রাতারাতি বাজারে দাম বেড়ে যায়। কিন্তু দাম কমলে বাজারে তেল আসতে সময় লাগে।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) প্রতি লিটার পাম তেলের দাম ১২৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে এ দামের চেয়ে বেশ কম দামেই বাজারে এ তেল মিলছে। এ বিষয়ে একজন খুচরা বিক্রেতা বলেন, বাজারে পাম তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতি লিটার ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে জানা যায়, খোলা চিনির দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়িয়ে ৯০ টাকা করা হলেও এখনও সরবরাহ সংকট কাটেনি। এছাড়া বিক্রয় রশিদ না পাওয়ারও অভিযোগ করেন খুচরা বিক্রেতারা।
বাজারে খোলা চিনির সংকট নিয়ে বিক্রেতারা বলেন, প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ টাকা হলেও ডিলাররা এ দামে সরবরাহ করছেন না। এর জন্য আমরা গেল ১ সপ্তাহ যাবত খোলা চিনি বিক্রি করছি না।
আরেকজন বিক্রেতা বলেন, চিনির দাম বেড়েছে, ঠিক আছে। তবে ডিলাররা তো আমাদের রশিদ দিবেন। তারা তো আমাদের রশিদ দিচ্ছেন না। তাহলে প্রমাণ কী, যে আমি এ দামে চিনি কিনে এনেছি।
এদিকে নিত্যপণ্যের বাড়তি দামে নাভিশ্বাস এক ক্রেতা বলেন, ‘আমি তো অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা। আমাদের যে পুঁজি আছে, আমরা সেটি দিয়ে তো চলতে পারছি না। দেশের বাজারে কোনো জিনিসের দাম এক বার বাড়লে তা আর কমে না।’
অপরদিকে হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মুরগির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। এক মুরগি বিক্রেতা জানান, চাহিদা বাড়ায় দামও বেড়েছে। পাকিস্তানি মুরগির দাম ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা আর ব্রয়লার মুরগির দাম ১৮০ টাকা।
এছাড়া প্রোটিনের বাজারে গত সপ্তাহে বেড়ে যাওয়ার পর সেই বাড়তি দামেই ডিম বেচাকেনা হচ্ছে। প্রতি ডজন ১৪০ টাকা দরে ডিম বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: