মোহাম্মদ রুবেল
টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা দেশের প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের এমন এক সময়ে এবার আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে যখন দলটির সরকার ক্ষমতায় যখন সারাবিশ্ব নানা সংকটে। সেই প্রভাব কিছুটা পড়েছে বাংলাদেশে।বিশেষ করে রাজনৈতিক সংকট নিয়েও এই মুহূর্তে ভাবতে হচ্ছে দলটিকে। তবুও দলটির প্রতি বাংলাদেশের মানুষের যেমন আশা-আকাঙ্ক্ষা রয়েছে।দলটিরও রয়েছে দায়-দায়িত্বও।কারণ দলের সভাপতি শেখ হাসিনা বলে কথা।এই মুহূর্তে তিনিই দলের জন্য শেষকথা।শেখ হাসিনাতেই নির্ভার কাউন্সিলররা।তেমটাই বলছেন সম্মেলনে আসা কাউন্সিলররা।
সম্মেলনে আসা কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামী লীগের জন্য শেখ হাসিনাই শেষকখা। সাধারণ সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ সভাপতি যাকে চূড়ান্ত করবেন তার প্রতি আস্থা তাদের।তাদের মূল আস্থার জায়গা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
আগামী বছরের শেষে বা পরের শুরুতে দেশে অনুষ্ঠেয় হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।এ প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের আগামীর রূপ-রং কেমন হবে?‘শান্তি ও সমৃদ্ধির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ’কি?বিপরীত বাতাসের জন্য কতটা প্রস্তুত আওয়ামী লীগ?রাজনীতির এসব হিসাব-নিকাশ আর প্রশ্ন-উত্তর গায়ে জড়িয়ে সম্মেলনে মিলিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
সবার দৃষ্টি এখন সভপতি শেখ হাসিনার দিকে।ভ এই দৃষ্টি যেমন নতুন নেতৃত্বের জন্য তেমনি নতুন দিক নির্দেশনার জন্যও। সারা দেশ থেকে আসা নেতাকর্মীদের জন্য ভবিষ্যতের পথরেখা দেবেন বলে আশা করছেন সবাই।
এছাড়া এই সম্মেলনে বড় প্রশ্ন আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক কে হবেন? স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য ‘স্মার্ট’ দলের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তিটি কি নতুন কেউ হবেন,নাকি গত দুইবারের মতো আরেকবার উচ্চারিত হবে ওবায়দুল কাদেরের নাম?দিনশেষে মিলবে সেই অপেক্ষার অবসান।
আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলনে এসেছেন মোহাম্মদ নাসির।তিনি থাকেন রাজধানীর পুরান ঢাকায় তিনি কেমন নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছেন ঢাকা নিউজ ২৪ ডট কম এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,‘আমরা আমাদের নেত্রী,শেখ হাসিনাকেই সভাপতি চাই।সাধারণ সম্পাদক পদে তিনি যাকে দেবেন, তার উপরই আমরা আস্থা রাখব।’
আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ঢাকা নিউজ ২৪ ডট কমকে বলেন,সাধারণ সম্পাদক পদের বিষয়ে ব্যক্তিগত কোনমতামত নেই।এই বিষয়ে নেত্রেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন।।
প্রতিবারের মতো এবারও আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হবে।দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে গঠন করা হবে নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি।যারা আগামী তিন বছর দায়িত্ব পালন করবেন।
এবার আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর সংখ্যা সাত হাজার।তারাই সিদ্ধান্ত দেবেন দলের সভাপতি,সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় পদের বিষয়ে।
গত বৃহস্পতিবার সম্মেলনস্থল পরিদর্শনে এসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি থাকছেন শেখ হাসিনাই। আর কেন্দ্রীয় পদগুলোতে তেমন পরিবর্তনের আভাস নেই।
এদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে শেখ হাসিনা আবার আসছেন, সেটি চূড়ান্ত। আর সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরসহ অন্তত ১০ জন আলোচনায় রয়েছেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এমআর
আপনার মতামত লিখুন: