
নিউজ ডেস্ক : মতিঝিলের কনকর্স লেভেলে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী পর্বে যুক্ত হচ্ছে মেট্রোর এই পথের কাজের আনুষ্ঠানিকতা। এর মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবে সাভার। এই পথ হেমায়েতপুর থেকে তুরাগের তলদেশ দিয়ে মিরপুর হয়ে মিলবে ভাটারায়।
শনিবার দুপুরে মেট্রোর হুইসেল আগারগাঁও থেকে বাজবে মতিঝিলে। এ যেনো একের ভেতরে দুই। ঠিক উদ্বোধনের সেই অনুষ্ঠানিকতায় এবার যুক্ত হচ্ছে এমআরটি লাইন-৫ এর নর্দান রুট। একই অনুষ্ঠানে এই প্রকল্পের কাজের শুভ সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
হেমায়েতপুর থেকে শুরু, এরপর বলিয়ারপুর-মধুমতি-আমিনবাজার। এরপর থেকেই উড়াল পথ গিয়ে নামবে পাতালে। তুরাগের নিচ থেকে গাবতলী, দারুস সালাম হয়ে মিরপুর-১, ১০, মিরপুর-১৪। কচুক্ষেত দিয়ে বনানী, গুলশান-২ হয়ে শেষ স্টেশন ভাটারা হবে উড়াল। প্রায় ২০ কিলোমিটার হবে এই পথ।
প্রথম পর্বের এমআরটি-৬ এখন বাস্তবতা। এরপরেই শুরু হয়েছে উড়াল-পাতাল মিলিয়ে লাইন ওয়ানের এক পর্ব বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর, আরেক ধাপ নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল। লাইন ফাইভের নর্দান রুট শেষ হবে ২০২৮ সালে। আর সাউর্দান রুট গাবতলী থেকে কলাবাগান হয়ে কারওয়ানবাজার দিয়ে হাতিরঝিল হয়ে আফতাবনগর। উড়াল-পাতাল মিলিয়ে এর সার্বিক কাজ শেষ হবে ২০৩০ সালে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি রুট তৈরি হয়ে যাবে। আর লাইন-৪ কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ। ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পন্ন হলে এই নগরের গণপরিবহনে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেছিলেন শেখ হাসিনা।
পুরোপুরি চালু হলে উত্তরা থেকে মতিঝিল-কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটারের পুরো রুটটি ৪০ মিনিটেরও কম সময়ে ভ্রমণ করে মেট্রোরেল প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: