নিউজ ডেস্ক
দেশের ৫০টি জেলায় ১০০ মহাসড়ক উদ্বোধন আজ। এতে যোগাযোগব্যবস্থায় আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। দেশের অর্থনীতিতেও এ মহাসড়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আজ বুধবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব মহাসড়ক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সূত্রে জানা যায়, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের এসব সড়কের দৈর্ঘ্য দুই হাজার ২১ কিলোমিটার।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়ে সড়কগুলো চালুর জন্য ২১ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ইতোমধ্যে উদ্বোধনের সব প্রস্তুতি সেরেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত থাকবে টাঙ্গাইল ও খুলনা জেলা। বাকি জেলাগুলো প্রোজেক্টরের মাধ্যমে যুক্ত থাকবে।
১০০টি মহাসড়ক উদ্বোধন যোগাযোগব্যবস্থায় আরেক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে পথের দূরত্ব যেমন কমবে তেমনি দীর্ঘদিনের দুর্ভোগও লাঘব হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (আরএইচডি) গত কয়েক বছরে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এসব সড়কের নির্মাণ, উন্নয়ন ও সংস্কারের কাজ করেছে।
জানা গেছে, সারাদেশে ২২ হাজার ৪৭৬ কিলোমিটার সড়ক নেটওয়ার্ক রয়েছে। এরমধ্যে তিন হাজার ৯৯১ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক, চার হাজার ৮৯৭ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং ১৩ হাজার ৫৮৮ কিলোমিটার জেলা সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে দুই হাজার ২১ কিলোমিটার সড়কের কাজ শেষ হয়েছে।
গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার সড়কের কাজ বিদেশি ঋণে করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় দুই পাশে সার্ভিস লেন দিয়ে সড়কটি চারলেন করা হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেছেন,
একদিনে ১০০টি রাস্তা উদ্বোধন করা হচ্ছে। নিরাপদ সড়ক করতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। এজন্য রাজধানী ঢাকার সাথে সারাদেশের যোগযোগব্যবস্থার উন্নয়ন করতে অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এসব সড়ক চালু হলে এক দিকে সড়কে দুঘর্টনা কমে আসবে অন্য দিকে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল করবে।
সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী একে এম মনির হোসেন পাঠান জানিয়েছেন, ১০০টি রাস্তা যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হলে রাজধানী থেকে জেলার যোগাযোগ আরও উন্নত হবে। নতুন সড়কগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক বা জাতীয় মহাসড়কও রয়েছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, গত তিন বছরে এসব সড়কের বেশিরভাগ ভৌত কাজ করা হয়েছে। উন্নয়ন কাজের আগে, অনেক রাস্তা মাত্র ৩.৫ মিটার চওড়া ছিল, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়েছিল। এখন দুর্ঘটনা কমে আসবে।
১০০টি সেতুর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫টি, সিলেট বিভাগে ১৭টি, বরিশাল বিভাগে ১৪টি, ময়মনসিংহে ছয়টি, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী ও রংপুরে পাঁচটি করে, ঢাকায় দুটি ও কুমিল্লায় একটি রয়েছে।
প্রসঙ্গত এর আগে প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করেন। ৮৭৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুগুলো উদ্বোধনের পর যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এমআর
আপনার মতামত লিখুন: