আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) মাধ্যমে ‘ঋণের ফাঁদের’ অভিযোগ ওঠা চীন এবার নিজেরাই ফাঁদে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশ যারা ইতোমধ্যে চীনা ঋণ গ্রহণ করে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে, সেসব দেশে আক্রমণের শিকার হচ্ছেন চীনা নাগরিকরা।
দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে গত এপ্রিলে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় তিন চীনা নাগরিক নিহত হয়েছে। আর শ্রীলঙ্কায় চীনপন্থি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর সেখানে থাকা নিজ নাগরিকদের হামলা থেকে বাঁচতে ও সাবধানে চলাচলের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে বেইজিং।
বেলুচ লিবারেশন আর্মি চায়না-পাকিস্তান ইকোনোমিক করিডোরের ঘোর বিরোধী (সিপিইসি)। সংগঠনটির একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী গত ২৬ এপ্রিল করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের একটি শাটল বাসে বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে তিন চীনা শিক্ষক নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন।
২০১৯ সালে পাকিস্তানের দাসু হাইড্রোপাওয়ার প্রজেক্টে কর্মরত চীনা নাগরিকদের ওপর আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এতে ৯ চীনা নিহত হন। এ জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাকিস্তানকে ১১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিতে হয়েছে।
ঋণ দিয়ে বন্দর নির্মাণ করে ঋণের টাকা শোধে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দর ৯৯ বছরের জন্য লিজে নিয়ে নিয়েছে চীন। প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগে বাধ্য হওয়ার পর শ্রীলঙ্কানরা তাদের বন্দরে চীনা উপস্থিতিকে ভালোভাবে দেখছেন না।
শ্রীলঙ্কার অস্থিতিশীল সময়ে নিজ দেশের নাগরিকদের ওপর ‘হামলা’ হতে পারে জানিয়ে নিরাপদে থাকার নির্দেশনা জারি করেছে বেইজিং। আর পাকিস্তানে এ ভাগ্য তাদের অনেক আগেই বরণ করতে হয়েছে। চীন যে দেশ দুটিতে ‘ঋণের ফাঁদ’ ব্যবহার করেছিল, সেই দেশ দুটিতেই ফাঁদের চোরাবালিতে আটকে গেছে তারা।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: