• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৯ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

গফরগাঁওয়ে হোমিও চিকিৎসককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২:০০ এএম
হোমিও চিকিৎসককে কুপিয়ে হত্যা
গফরগাঁওয়ে হোমিও চিকিৎসককে কুপিয়ে হত্যা

গফরগাঁও(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ  ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে হোমিও চিকিৎসক হারুন অর রশিদকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের ছেলে ফেরদৌস আহম্মেদ দিপ্ত বাদী হয়ে ঘাতক রুবেল মিয়াকে আসামী করে রাতেই পাগলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম কাকলী জানান, ছেলে ফেরদৌস আহম্মেদ দীপ্ত বাদী হয়ে ঘাতক রুবেল মিয়ার নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে কি নিয়ে বিরোধ এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

নিহতের ভগ্নিপতি স্কুল শিক্ষক মোহাম্মদ আবুল কাশেম জানান,আমরা শোনতে পেরেছি ঘটনার কিছু সময় আগে হারুনের সাথে রুবেলের কথা কাটাকাটি হয়েছে।এর কিছুক্ষণ পর রুবেল রামদা নিয়ে এসে হারুনকে ধাওয়া করে এবং পেছন থেকে এলাপাথারি কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে দুইহাত তুলে চিৎকার ও আনন্দ উল্লাস করে। ঘটনার দিন সোমবার সন্ধায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা এজাজুল ইসলাম বলেন, ‘ হারুন অর রশিদ নিরীহ প্রকৃতির লোক ছিলেন। স্থানীয় বিএনপির রাজনীতি করলেও কারও সাথে বিবাদ ছিলনা। হারুনের স্ত্রী   প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার কারণে খাবারের সমস্যায় পড়তেন বলে কর্মচারী  রাফসানদের বাসায় খাবার খেতে যেতেন।

নিহতের ছোট ভাই কামরুল ইসলাম জানান, বিগত ২০১৩ সালে অভিযুক্ত রুবেল তাঁকে (কামরুল) কুপিয়ে জখম করেন। এ ঘটনায় মামলার সাক্ষী ছিলেন বড় ভাই হারুন। এটি হত্যার কারণ হতে পারে।

পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন,‘হত্যাকান্ডের তদন্ত চলছে,প্রাথমিক তদন্তে নিহত হারুন অর রশিদ এর সাথে রুবেল মিয়ার কোনো নারী  গঠিত বিষয় রয়েছে কিনা তার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
 

প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার পাইথল ইউনয়নের গয়েশপুর বাজারে হারুন অর রশিদ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশে চা খাচ্ছিলেন। এসময় ঘাতক রুবেল রামদা নিয়ে জনসমক্ষে হারুন অর রশিদকে ধাওয়া করে বাজারের পাশেই এলোপাথারি কুপিয়ে হত্যা করে উল্লাস করতে করতে চলে যায়।

এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ঘাতক রুবেলের বাড়িতে আগুন দিলে দুইটি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভায়।

এসময় নিহতের স্বজন ও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর গণপিটুনিতেব ঘাতক রুবেল ও তার মা বিউটি আক্তার জনতার হাত থেকে উদ্ধার করতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে পাগলা থানা পুলিশ ৪টি ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে ।

নিহত হারুন অর রশিদ পাইথল ইউনিয়নের গোয়ালবর গ্রামের মৃত খুরশেদ আলমের ছেলে। তিনি স্থানীয় বিএনপির রাজনীতি করতেন এবং ইউনিয়র বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন ।

মঙ্গলবার রাতে পাইথল ইউনিয়নের গোয়ালভর গ্রামে হারুন অর রশিদের  জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image