• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০১ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বাকেরগঞ্জে প্রায় ২ কোটি  টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু কাজে আসছে না  


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৫৩ এএম
বাকেরগঞ্জে প্রায় ২ কোটি  টাকা ব্যয়ে
নির্মিত সেতু কাজে আসছে না  

মোঃ  জাহিদুল ইসলাম, বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি, বরিশাল : বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৪ নং দুধল ইউনিয়নের কবিরাজ মিয়ারহাট খালের উপর নির্মিত সেতুটি প্রায় তিন বছর আগে নির্মাণ কাজ শেষ  হলেও জনসাধারনের কোন উপকারে আসছে না।সেতুটি নির্মান করেন  উপকূল কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকেদারী প্রতিষ্ঠান। সেতুটি সড়ক থেকে প্রায় ২০ ফুট উঁচু হওয়ায়  এবং সেতুর সংযোগ সড়ক তিন বছরেও নির্মাণ না করায় জনসাধারণ  সেতু ব্যবহার করতে  পারছে  না।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয় নির্মিত সেতুটি  দুই পাশের সংযোগ সড়ক না হওয়ার  কারণে  ব্যাবহার হচ্ছে না। সেতু নির্মানের  তিন বছরেও কোন যানবাহন ও পথচারীরা চলাচল না করায় এই সেতু কোনো কাজেই লাগছে না। সেতু পারাপার হতে না পারায় হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। 

বিশেষ করে বৃদ্ধ-শিশুরা বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই মিয়ারহাট খালের উপর একটি সেতু নির্মাণের। কিন্তু সেই সেতু নির্মাণ হলেও দুর্ভোগ কমেনি। সংযোগ সড়কের বদলে সেতুর দক্ষিণ পাশে একটি কাঠের তৈরি সেতু নির্মাণ করা হলেও সেটিও ভেঙ্গে গিয়েছে। ভাঙ্গা সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত স্কুল মাদ্রাসা কলেজের শিক্ষার্থীরা আসা-যাওয়া করে। প্রায় দুর্ঘটনা শিকার হচ্ছে পথচারীরা। 

দুধল ইউনিয়নের গোমা আরএসডি আমতলা ভায়া ডিকেপি কবিরাজ হাট হয়ে দাড়িয়াল ইউনিয়নের উত্তমপুর টু কামারখালী জিসি সড়কে ৪১ শত চেইনেজে দুই ইউনিয়নের যোগাযোগে মানুষের দুর্ভোগ-ভোগান্তি চরমে পৌঁছে গেছে। সেতুটির এক প্রান্তে পশ্চিম পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হলেও অপর প্রান্ত পূর্বপাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণের কার্যকারী কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিতেও পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। বিকল্প কোনো সেতু না থাকায় প্রতিদিন ২-৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে  দক্ষিণ দুধল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুধল ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা, ডি কে পি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মডেল স্কুল, দত্রবাদ সরকারি প্রাথমিক সহ জেলা উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোমলমতি শিশু ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের দিন কাটাচ্ছে। অনেকে ভাঙা কাঠের সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। অনেকে আহত হয়েছে বলেও খবর শোনা গেছে। অথচ বিকল্প সেতুটি ভেঙে ২ বছর পার হলেও সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই তেমন উদ্যোগ।

স্হানীয়  দুধল সিকদার  বাড়ি সরকারি  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  প্রধান শিক্ষক মোঃ সেলিম  সিকদার  অভিযোগ করে বলেন, এত টাকা খরচ করে সেতু নির্মাণ করেছে সরকার কিন্তুু ব্যাবহার হচ্ছে না। তাহলে এই সেতু নির্মাণের কোন প্রয়োজন ছিল না। যাহাতে সেতুটি দিয়ে দ্রুত সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয় সেজন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা। 

ঠিকাদার মো: মাইনউদ্দিন বলেন, এলজিইডি কাজটা আটকিয়ে রেখেছে। বাকেরগঞ্জ এলজিইডি থেকে ভেরিভিশন প্রস্তুত করে অনুমোদনের জন্য দেয়া হলেও তারা অনুমোদন এখনো দেয়নি। অথচ আমি লোকজন চলাচলের জন্য বিকল্প কাঠের সেতু তৈর করে দিয়েছি। সেটাতে এখন পর্যন্ত তিনবার মেরামত করেছি। এই সেতুটি নির্মাণ করতে গিয়ে অনেক লোকশানের মুখে পড়েছি। 

উপজেলা প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া বলেন, ভেরিভিশন প্রস্তুত করে অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন  কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদিত কাগজপত্র পেলেই সংযোগ সড়কের কাজটি আমরা দ্রুত করবো।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image