• ঢাকা
  • রবিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৫ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

লালবাগে এক শিশুকে বাঁচাতে পরিবারের আকুতি


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ০২ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০১:৩৭ পিএম
লালবাগ শহীদ নগর এলাকায়
শিশুকে বাঁচাতে পরিবারের আকুতি

জহিরুল ইসলাম সানি:

পুরান ঢাকার লালবাগের ছোট্ট শিশু তাহসান বয়স (৬) সাত মাস গত পাঁচ মাস আগে SSPE ব্রেন ইনফেকশন নামক মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে ভুগছেন এরপর চলে চিকিৎসা টানা চার মাস চিকিৎসা করতে গিয়ে গরীব পিতা-মাতা সর্বস্ব শেষ করেছেন কিন্তু আজও ভালো হয়নি কলিজার টুকরো সন্তান তাহসান।

তাহসানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার মাথা থেকে শুরু করে পুরো শরীর হাত পা সারাক্ষণ ঝাঁকুনিতে কথা বলা হাঁটাচলা বন্ধ হয়ে আছে। খাওয়া দাওয়া খেতে পারছেনা। অনেক কষ্ট করে খাওয়াতে হয় সারাক্ষণ বিছানায় শুয়ে রাখতে হয় বিভিন্ন হাসপাতালে একাধিকবার তাহসানকে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করানো হলেও কোন উন্নতি হয়নি বরং দিন দিন আরো খারাপের দিকে অগ্রসর হয়েছে।

সর্বশেষে গত মাসের দিকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসাইন্স হসপিটালে ভর্তি করানো হলে সেখানকার ডাক্তার আমাদের কে জানান, বাংলাদেশে এই রোগের আর কোন চিকিৎসা করানো সম্ভব নয় চিকিৎসা আছে ইন্ডিয়াতে তাই অবিলম্বে ইন্ডিয়াতে চিকিৎসার জন্য আহ্বান জানান। দ্রুত চিকিৎসা না পেলে শিশুটির মারা যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।

তাহসানের বাবা মোঃ সুমন হোসেন পেশায় একজন রিক্সা চালক তাহসানের উক্ত চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা খরচ করে ঋণগ্রস্ত হয়েছেন এখন ইন্ডিয়া গিয়ে চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন যা দরিদ্র পরিবার পিতা-মাতার পক্ষে সংগ্রহ করা একেবারে অসম্ভব তাই শিশু সন্তানের চিকিৎসায় পিতা মাতা সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

মোঃ সুমন হোসেন ভাড়া বাড়িতে থাকে। তার আর্থিক সম্পদ কিছুই নেই প্রতিদিন রিক্সা চালিয়ে যা আয় করেন তাতেই চলে তার সংসার একমাত্র সন্তান তাহসান জন্মের পর হতেই ছিল খুব চঞ্চল প্রকৃতির তাকে মাদ্রাসায় পড়ানো হয়েছিল কিন্তু তাহসানের বয়স যখন ছয় বছর দুই মাস তখন থেকে সে রোগে আক্রান্ত হয়।

চিকিৎসকরা শিশুটির পিতা মাতাকে জানিয়েছেন, দীর্ঘ সময় ধরে ইন্ডিয়াতে চিকিৎসা করাতে হবে। সঠিক চিকিৎসা করালে সে একসময় সুস্থ হয়ে উঠবে।

এ পর্যন্ত বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে যাওয়া আসা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধ এর জন্য তিন লক্ষ্য টাকা ব্যয় হয়ে গেছে নেই কোন সঞ্চয় নেই কোন সম্পদ তাই বর্তমানে শিশুটিকে আর কোন চিকিৎসা করাতে পারছেনা তারা।

কথা হয় শিশুর মা তানিয়া আক্তারের সাথে, তিনি বুকের ধন ছোট্ট শিশু তাহসানের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলে বললেন আমরা খুব গরিব দিন আনি দিন খাই একদিন কাজ না করলে চুলায় হারি উঠে না সেই ঘরে এত বড় রোগ কেন কিভাবে ছেলেকে চিকিৎসা করাবো সেই চিন্তায় দিশেহারা।

তানিয়া আক্তার আরো বললেন, এই পর্যন্ত প্রায় তিন লক্ষ টাকা ব্যয় হয়ে গেছে যা আমাদের পক্ষে জোগাড় করা একেবারে অসম্ভব তারপরও নানাভাবে টাকা জোগাড় করেছি চিকিৎসা করিয়েছি আমার সন্তান কে সুস্থ করার জন্য তার মুখে একটু হাসি দেখার জন্য কিন্তু দিন যত যাচ্ছে ততই সে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে আমরা কবিরাজের কাছে তদবির নিয়ে তার চিকিৎসা করেছি তাতেও কোন সুস্থ হয়নি

তাহসানের পিতা সুমন হোসেন বলেন, শিশুটিকে সুস্থ দেখতে তার মুখে বাবা ডাক শুনতে আমি অনেক কষ্ট করে যাচ্ছি, টাকার অভাবে এখন ইন্ডিয়া নিয়ে চিকিৎসা করাতে পারছি না ছয় বছর সাত মাস আগে ঘর  আলোকিত করে আসে আমাদের তাহসান আজ সে কঠিন রোগে আক্রান্ত তার সু চিকিৎসায় অসহায় আমরা পিতা-মাতা সরকার ও বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আকুতি জানালাম সকলে আমাদের সন্তানের জন্য দোয়া ও সাহায্য সহযোগিতা করবেন

যোগাযোগ মোবাইল/ ইমু / হোয়াটসঅ্যাপ 01681095056   01828723640

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image