• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কমলগঞ্জের চা-বাগানে লজ্জাবতী বানর উদ্ধার


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০১:১৩ পিএম
চা-বাগানে লজ্জাবতী বানর উদ্ধার
বানর উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার চাম্পারায় চা-বাগানে কুকুরের তাড়া খেয়ে সুজন মুণ্ডা নামের এক ব্যক্তির ঘরে ঢুকে পড়েছিল একটি লজ্জাবতী বানর।

মঙ্গলবার দুপুরে প্রাণীটিকে উদ্ধার করেছেন বন বিভাগ ও স্ট্যান্ড ফর আওয়ার এনডেনজারড ওয়াইল্ডলাইফের সদস্যরা।

মঙ্গলবার  (১৪ জুন)  চাম্পারায় চা বাগান চা শ্রমিকের সুজন মুণ্ডার বসত ঘর থেকে দুপুরে লজ্জাবতী  বানরটিকে উদ্ধার করেন বন বিভাগ ও স্ট্যান্ড ফর আওয়ার এনডেনজারড ওয়াইল্ডলাইফের সদস্যরা।

স্ট্যান্ড ফর আওয়ার এনডেনজারড ওয়াইল্ডলাইফের সমন্বয়ক সোহেল শ্যাম  বলেন, ‘গতকাল সোমবার রাতে সংগঠনের সদস্যদের মাধ্যমে জানতে পারি, চাম্পারায় চা–বাগানে সুজন মুণ্ডার ঘরে কুকুরের তাড়া খেয়ে একটি প্রাণী ঢুকে পড়েছে। স্থানীয় লোকজন প্রাণীটিকে চিনতে পারেননি। পরে তাঁদের মুঠোফোনে কল করে প্রাণীটিকে আঘাত না করার জন্য বলি।’ ১৪ জুন দুপুরে আমরা লজ্জাবতী বানর টি কে উদ্ধার করি।  বানরটি বর্তমানে লাউয়াছড়ার  শ্যামলী বন্যপ্রাণী রেসকিউ সেন্টারে রয়েছে।

প্রাণীটি একটি লজ্জাবতী বানর বলে জানিয়েছেন তিনি। সোহেল শ্যাম বলেন, এরা বনের উঁচু গাছে থাকে। পথ ভুল করে এবং বাড়িতে ফলগাছ থাকায় হয়তো বানরটি নিচে নেমে এসেছিল। পরে বাড়ির কুকুরের ধাওয়া খেয়ে ঘরে ঢুকে যায়। বানরটি মানুষের সংস্পর্শে এসে একটু ভীত হয়ে আছে। আগামি কদিনের মধ্যে বন বিভাগের সাথে  আলোচনা করে খুব শিগগিরই এটিকে অবমুক্ত করা হবে।

জানা গেছে, লজ্জাবতী বানর লাজুক বানর হিসেবেও পরিচিত। এদের বেঙ্গল স্লো লরিস হিসেবেও ডাকা হয়। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) লাল তালিকার নয়টি ভাগের মধ্যে লজ্জাবতী বানরকে ‘বিপন্ন’ (endangered) প্রাণী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশে এরা মূলত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের চির সবুজ বনের বাসিন্দা। এটি বাংলাদেশের ১৯৭৪ ও ২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত প্রাণী। বানর জাতীয় প্রাণীর মধ্যে এটি দেশের ক্ষুদ্রতম।

ঢাকানিউজ২৪.কম / মো: জহিরুল ইসলাম/কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image