সাকিব আহমেদ, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় ইছামতী নদীর ভাঙনে একটি বেইলি সেতুর একাংশ দেবে গেছে এতে বিপাকে পড়েছেন এপার-ওপারের ২০ গ্রামের মানুষ।
উপজেলার কুস্তা এলাকায় এই সেতু ভাঙনের মুখে পড়ায় ঘিওর-শ্যামগঞ্জ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘিওর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. অহিদুল ইসলাম বলেন, যখন ভাঙনের আশঙ্কার কথা জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তখন জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হলে এতটা ক্ষতি হতো না।
তিনি আরও বলেন, মানিকগঞ্জের অন্যতম বড় ঘিওর হাটের একাংশ কয়েকদিন আগে ধসে গেছে।
নদী ভাঙনে সেতুটি ধসে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। শত বছরের ঐতিহ্যবাহী হাট ঘিওর হাটবাজারে মালামাল আনা-নেওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। বিপাকে পড়েছেন ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রামের বাসিন্দা।
মুঠোফোনে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মানিকগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন জানান, ঘিওরে কুস্তা এলাকায় নদীর ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি আট হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। স্থায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। এ ছাড়া এলাকার বসতভিটা রক্ষায় আরও ৩০ লাখ টাকার চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
হ্যালোবাইক চালক রাসেল জানান, নদী ভাঙনে ৩০টি বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। এখনও রামকান্তপুর, রসুলপুর ও কুস্তা এলাকার হাট সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতু, নবনির্মিত পাকা সড়ক, দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-কবরস্থানসহ শতাধিক বসতভিটা ভাঙনের কবলে আছে।
স্থানীয়রা জানান, ভাঙনের কারণে গত বুধবার থেকে সেতুটি দিয়ে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
উউল্লেখ্য, ঘিওর উপজেলার কুস্তা, নারচি, বেগুন নারচি, শোলাকুড়া গ্রাম এবং দৌলতপুর উপজেলার খলসি, জিয়নপুর, বাচামারা, বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ২০টির মতো গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এই সেতু দিয়ে ঘিওর উপজেলা সদর ও জেলা সদরে যাতায়াত করতেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: