• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

র‌্যাবকে হিটলারের গোয়েন্দা বাহিনী বানিয়েছে সরকার : রিজভী


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:৫৪ পিএম
সরকার র‌্যাবকে হিটলারের গোয়েন্দা বাহিনী
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

নিউজ ডেস্ক : গুম ও ক্রসফায়ার শব্দ দুটি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আমলে কেউ শোনেনি বলে দাবি করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আরও বলেন, বর্তমান সরকার র‌্যাবকে হিটলারের গোয়েন্দা বাহিনী গেস্টাপোর মতো বানিয়েছে।

রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতা।

তিনি বলেন, সরকার ভয় পেয়ে দেশজুড়ে আবার গ্রেপ্তার শুরু করেছে। তবে কোনো কিছুই আমাদের ঠেকাতে পারবে না। আমাদের সব অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মাঠে নেমেছেন তাদের অধিকার আদায়ের জন্য। ইতোমধ্যে বিভাগীয় গণসমাবেশে তার প্রমাণ দেশবাসী দেখছেন।

গত শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে জড়িয়ে অসত্য কথা বলেছেন- এমন অভিযোগ এনে রিজভী বলেন, ‘গুম আর ক্রসফায়ার শব্দ দুটি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আমলে কেউ শুনেছে বলে আমার জানা নেই। আসলে প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে বোকা মনে করছেন। সে জন্য তিনি ঢালাও মিথ্যা কথা বলেন।

আসলে তিনি জনগণের প্রধানমন্ত্রী নন। তিনি আওয়ামী দুষ্কৃতকারীদের প্রধানমন্ত্রী। তিনি র‌্যাবকে গেস্টাপো বাহিনীর মতো বানিয়েছেন। আজকে তরুণ যুবকরা সবচেয়ে বেশি ভয়ের মধ্যে সময় পার করছে। শেখ হাসিনা চান সারা দেশে একটা ভয়ের বার্তা দিতে। যে কারণে তরুণ যুবকদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘বিভাগীয় সদরে গণসমাবেশে মানুষের ঢল দেখে প্রধানমন্ত্রী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। তার কথাবার্তায় সৌজন্যবোধ দূরে থাক, ন্যূনতম রাজনৈতিক ভদ্রতা প্রকাশ করেননি।

গত পরশু যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায় তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা ও তারেক রহমান সম্পর্কে যে ধরনের বক্তব্য রেখেছেন, তা সম্পূর্ণরূপে সুরুচি ও শিক্ষার আলোকবঞ্চিত প্রতিহিংসাপরায়ণ বস্তির মানুষের পক্ষেই সাজে।

রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা যুবকদের কর্মসংস্থান করেছি, তারা হত্যা করেছে।’ অথচ বাংলাদেশ এখন বেকারের কারখানা, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেকারের সংখ্যা বাংলাদেশে। শিক্ষিত বেকাররা চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যা করছে, যুবক-তরুণদের ধরে নিয়ে গিয়ে গুম ও হত্যার যে দৃষ্টান্ত শেখ হাসিনা রেখেছেন, তা বিশ্বের সব স্বৈরাচারের রেকর্ডকে ভঙ্গ করেছে।

বুয়েট ছাত্র আবরার, কিশোর বিশ্বজিৎ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু বক্কর, ছাত্রনেতা নুরুজ্জামান জনি, বাপ্পী, আরিফ, মতিউর রহমান এম, ভোলার ছাত্রনেতা নুরে আলম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম, মুন্সীগঞ্জের যুবদল নেতা শাওন, নারায়ণগঞ্জের যুবদল নেতা শাওন প্রধান, ছাত্রনেতা অনিক, বেনাপোলের আব্দুল আলীম, বাগেরহাট ছাত্রদল নেতা নুরে আলম ভুঁইয়া তানুসহ জেলায় জেলায় বিএনপির অসংখ্য তরুণ নেতাদের পুলিশ, র‌্যাব অথবা যুবলীগ-ছাত্রলীগ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে হত্যা করেছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, এ ছাড়া সাবেক এমপি এম ইলিয়াস আলী ও সাইফুল ইসলাম হীরু, চৌধুরী আলম, সুমন, মুন্না, জাকির, হুমায়ুন পারভেজসহ বিএনপির অসংখ্য আইন প্রণেতা, জনপ্রতিনিধি, অসংখ্য যুবক-ছাত্রকে গুম করার কী জবাব দেবেন প্রধানমন্ত্রী?’

যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন বাস ধর্মঘট না হলেও বিএনপির গণসমাবেশের আগে থেকে ধর্মঘট কার নির্দেশে ডাকা হয়, সেটা দেশবাসী জানে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা।

রিজভী বলেন, ‘বরিশালের গণসমাবেশ শেষ হওয়ার পর থেকে গৌড়নদী আগৈলঝাড়ায় বিএনপির মালিকানাধীন ২৮টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসনের সহায়তায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। দুটি এনজিওকে বন্ধ রাখা হয়েছে। কারণ এই এনজিওগুলো যারা পরিচালনা করেন, তারা বিএনপি সমর্থক। সে জন্য সেই এনজিও মালিকদের চাপ দেয়া হচ্ছে আওয়ামী লীগের লোকদের পরিচালক করার জন্য। না হলে এনজিও চালাতে পারবে না।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল আলম নীরব, আবদুর রহিম, তারিকুল আলম তেনজিং, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image