• ঢাকা
  • রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

আখাউড়ায় শ্যালককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি ভগ্নিপতির


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০২:১৮ পিএম
আখাউড়ায় মুক্তিপণ দাবি
শ্যালককে অপহরণ ভগ্নিপতির

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ  শ্যালককে অপহরণ করে মুক্তিপনের টাকা নেওয়ার সময় ধরা খেলেন ভগ্নিপতি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরশহরের রাধানগরের একটি বিকাশের দোকান থেকে অপহৃত শিশু আবু সাঈদ (৮) ও অভিযুক্ত অপহরণকারী সজিব মিয়াকে আটক করে থানা পুলিশ। 

সজিব নরসিংদী জেলার মনোহরদি উপজেলার দয়াগাঁও গ্রামের হারিছ মিয়ার ছেলে। এর আগে গত শনিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার অছিতপুরা থেকে সোলমান মিয়ার শিশুপুত্র আবু সাঈদকে অপহরণ করে নিয়ে আসে তার ভগ্নিপতি। 

খবর পেয়ে শিশু আবু সাঈদের বাবা ও চাচা রাত ৮ টায় আখাউড়া থানায় আসে। আখাউড়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকালে অপহরণকারী সজিব মিয়া শিশু আবু সাঈদের বাবার কাছে ফোন করে মুক্তিপণের জন্য টাকা চায়। আবু সাঈদের পরিবার টাকা পাঠানোর জন্য কৌশলে কিছু সময় চায়। 

পরে বিষয়টি আড়াই হাজার থানা পুলিশকে অবগত করেন। আড়াই হাজার থানা থেকে বিষয়টি আখাউড়া থানাকে জানানো হলে সাদা পোষাকে পুলিশ দোকানে অবস্থান নেয়। পরে অপহরণকারী টাকা উত্তোলন করতে এলে পুলিশ তাকে আটক করে। এসময় তার সাথে থাকা অপহৃত শিশু আবু সাঈদকে উদ্ধার করা হয়। 

আটক সজিব মিয়া বলেন, চার বছর আগে আমি বিয়ে করেছি। বিয়ের পর থেকে আমার স্ত্রী আমার অগোচরে ঘর থেকে বের হয়ে গিয়ে পরকিয়া করে। আমার শশুর শাশুড়িকে  জানালেও তারা কোন বিচার করে না। উল্টো আমাকে শাসায়। তারপর আমি চিন্তা করি তাদেরকে একটা শিক্ষা দেওয়া দরকার। তাদের সন্তানকে অপহরণ করে নিয়া যামু। তারপর বুঝতে পারবে পরের ছেলের সাথে এমন করলে নিজের ছেলে বুকে না থাকলে কেমন লাগে। 

সজিব মিয়া আরও বলেন, আমার কাছে টাকা না থাকায় আমি তাদের কাছে এক হাজার টাকা পাঠাতে বলেছিলাম। মুক্তিপণ চাওয়ার কথা সে অস্বীকার করেছে। শিশু আবু সাঈদের বাবা সোলমান মিয়া বলেন, চার মাস আগে আমার মেয়েকে তার কাছ থেকে সামাজিকভাবে সম্পর্ক শেষ করে নিয়ে আসি। তারপর সে আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে আবার নিয়ে যায়। কিছু দিন আগে আমার মেয়েকে মারধর করে নাতিনকে রেখে তাড়িয়ে দেয়। পরে আমরা পুলিশ নিয়ে নাতিনকে নিয়ে আসি। এ ঘনটায় ক্ষুব্ধ হয়ে সে আমার ছেলেকে অপহরণ করে নিয়ে এসে ৪ লক্ষ টাকা দাবী করে।

আখাউড়া থানার ওসি মোঃ আসাদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,  নারায়নগঞ্জের আড়াই হাজার থানা থেকে এমন একটি বিষয় আমাদেরকে জানালে পুলিশ ওই দোকানে অবস্থান নিয়ে অপহরণকারীকে আটক করে এবং অপহৃত শিশুটি উদ্ধার করা হয়েছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image