• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে:  গণফোরাম


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ আগষ্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:০৯ পিএম
গণতন্ত্র আর গণতন্ত্রের প্রধান উপাদান হল
জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরামের আলোচনা সভা

নিউজ ডেস্ক: ২৯শে আগস্ট সোমবার বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ৩য় তলায় আব্দুস সালাম হলে গণফোরামের ২৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দুঃশাসন হটিয়ে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ গণফোরাম শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন গণফোরাম সভাপতি জননেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টু।

সভাপতির বক্তব্যে মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন- একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। শেখ হাসিনা আপনিও আসেন সেই নির্বাচনে, যদি জনগণের উপর ভরসা থাকে। বঙ্গবন্ধু সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, তাহলে আপনিও  বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসাবে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ নির্বাচনে, সাহস নিয়ে আসুন, জনগণ সিদ্ধান্ত নিবে কে জয়ী হবে? আপনি ১৪ আর ১৮ সালের নির্বাচনের পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে চান? সেইটা বাংলাদেশের মাটিতে আর হবে না, ঐদিন শেষ। এখন মানুষ প্রস্তুত যতই অত্যাচার করেন না কেন, মানুষ রুখে দাঁড়াবেই। আপনি জানেন না আন্দোলনটা কোথা থেকে শুরু হবে। এমনও হতে পারে বাজার থেকেই আন্দোলন শুরু হয়ে যাবে। মানুষের যে নাভিশ্বাস উঠেছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে, সেই নাভিশ্বাসই আপনার পতনের কারণ হবে। গণফোরামের ২৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী থেকে ডাক দিয়ে যাই, আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সমস্ত রাজনৈতিক সংগঠনকে, বাংলাদেশের সমস্ত জনগণকে আসুন আমরা নিজেদের ভেদাভেদ-অনৈক্য ভুলে মৌলিক বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমস্ত জাতীকে একতাবদ্ধ করে একটা আন্দোলনের ডাক দেই, যেটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য জনগণের যে দাবী সেটা বাংলার বুকে আমরা প্রতিষ্ঠা করবোই করবো- এই হোক আমাদের শপথ।

গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা হল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, মুক্তিযুদ্ধের মূল লড়াই ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। সংবিধানে আমাদের মূল কথা আমরা গণতন্ত্র চাই, আমরা শোষনহীন সমাজ চাই এবং আমরা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি চাই। বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আজকে যারা বলেন আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক, কোন মুখে বলেন? জবাব দিতে হবে। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, যারা বলেন তারা মুক্তিযুদ্ধ করেন নাই। আমরা বেঁচে আছি তাদের এই গলাবাজীর জবাব চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে চাই- মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল বলতে আজকের এই আওয়ামী লীগ নাই। তা যদি থাকত মুক্তিযুদ্ধের মুল কথাই ছিলো গণতন্ত্র আর গণতন্ত্রের প্রধান উপাদান হল ভোটাধিকার। জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার কেড়ে নিয়েছে ক্ষমতা দখল করা কর্তৃত্ববাদী রাতের ভোটের অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেন- যেখানে এক ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ডিজেল দিয়ে ২৫ টাকা, গ্যাস দিয়ে ৩.৫০ টাকা লাগে তাইলে আজকে এই ১২ বৎসর আগে থেকে কুইক রেন্টাল সার্ভিসের নামে কিছু ধনাঢ্য ব্যক্তিদের হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে বিলিয়নিয়ার তৈরি করার জন্য শেখ হাসিনা যে সুযোগ দিয়েছে এটা জাতির প্রতি অন্যায় করেছে, অবিচার করেছে।

গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর স্বাগত বক্তব্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে, সারাদেশের অগণিত নেতাকর্মীদের এবং বাংলাদেশের সকল জনগণকে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন- একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যেই প্রতিশ্রুতি নিয়ে আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে যে ঘোষণা দিয়ে গণফোরাম সারাদেশব্যাপী যে নতুন সুস্থ ধারার রাজনীতির গণজোয়ার দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির বিরুদ্ধে যাত্রা শুরু করেছিলো, অনেক ভূলভ্রান্তি হয়েছে কিন্তু সেই লক্ষে আজও আমরা অবিচল। আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এই দীর্ঘ ২৯ বছরের লড়াই সংগ্রাম ও আপনাদরে সম্মিলিত প্রয়াসের জন্য স্বৈরাচারের রুগ্ন রাজনীতির বিরুদ্ধে স্বচ্ছ ধারার জনকল্যাণের রাজনীতি করে টিকে আছি এটাই আমাদের বড় পাওনা। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই আমাদের স্বপ্নের দল গণফোরামকে পরিপূর্ণতা দেওয়ার জন্য একটি সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি, একটি মানবিক বাংলাদেশ, সাম্য-ন্যয়বিচারসম্পন্ন বাংলাদেশ, একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের শাসন কায়েম করতে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকব।

আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, এবি পার্টির সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সর্দার চাখারী, গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট মহিউদ্দিন আবদুল কাদের, বীর মুক্তিযোদ্ধা খান সিদ্দিকুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লতিফুল বারী হামিম, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিবুর রহমান বুলু, ঢাকা জেলা সভাপতি মোঃ হামিদ মিয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাঠান সহ জাতীয় ও দলীয় নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গণফোরাম ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী।

উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম, যুব গণফোরাম, ছাত্র ফোরাম ও মহিলা ফোরামের নেতৃবৃন্দ সহ অন্যান্য দলের সম্মানিত নেতৃবৃন্দ।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image