আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আরেকটি রুশ জাহাজে মস্কভার পর কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনীয় বাহিনী হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে খবর প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, কৃষ্ণ সাগরে অ্যাডমিরাল মাকারভ যুদ্ধজাহাজে ইউক্রেনের বাহিনী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।
জেরুজালেম পোস্ট জানায়, জাহাজটিতে ইউক্রেনের তৈরি নেপচুন অ্যান্টি শিপ মিসাইল দিয়ে আঘাত করা হয়। হামলায় যুদ্ধজাহাজটিতে আগুন ধরে গেছে।
এ সংক্রান্ত কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে। তবে এসব ভিডিওর কোনোটিরই সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানায় ইন্ডিপেনডেন্ট।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম দামাস্কায়া জানিয়েছে, রুশ এই যুদ্ধজাহাজ কৃষ্ণসাগরের স্নেক আইল্যান্ডের কাছাকাছি অবতরণ করছিল। অ্যাডমিরাল মাকারভকে অকেজো করে দিয়েছে। তবে এটা এখনো ডুবেনি।
ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স মনিটরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্রমেই বিষয়টি সত্য মনে হচ্ছে। কেননা মার্কিন নজরদারিতে মাকারভে সাহায্য পাঠাতে দেখা গেছে।
তবে ক্রেমলিন শুক্রবার (৬ মে) তাসকে জানিয়েছে, এ বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্যই নেই। অ্যাডমিরাল মাকারভ একটি 'অ্যাডমিরাল গ্রিগরভিচ ক্লাস ফ্রিগেড' যা ২০১৭ সালে রাশিয়ার নৌবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হয়।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল এক বিস্ফোরণের পর সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় যুদ্ধজাহাজ ‘মস্কভা’। পরে সাগরের ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে জাহাজটিকে বন্দরের দিকে টেনে নেয়ার পথে ১৪ এপ্রিল সেটি ডুবে যায়।
কৃষ্ণসাগরে মোতায়েন রাশিয়ার নৌবহরটি ব্ল্যাক সি ফ্লিট হিসেবে পরিচিত ছিল। রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর বহরের নেতৃত্বে ছিল মস্কভা। জাহাজটি ১৯৮৩ সালে রাশিয়ার নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়। যুদ্ধজাহাজটিতে ১৬টি জাহাজবিধ্বংসী ‘ভলকান’ ক্রুইজ ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা অন্তত ৭০০ কিলোমিটার (৪৪০ মাইল)। ১২ হাজার ৫০০ টনের এই যুদ্ধজাহাজটিতে সাধারণত প্রায় ৫০০ জন নাবিক অবস্থান করতেন।
২০২১ এর এপ্রিলে রাশিয়ার একজন অবসরপ্রাপ্ত অ্যাডমিরাল মস্কভাকে ‘কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাহাজ’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: