• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

সীতাকুন্ডের ঘটনাই বোঝায় দেশে কি উন্নয়ন হয়েছে: মির্জা ফখরুল


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ০৫ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:৫১ পিএম
সীতাকুন্ডের ঘটনাই বোঝায় দেশে কি উন্নয়ন
বক্তব্য রাখছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: সীতাকুন্ডে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহত ও আহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি আতঙ্কিত হচ্ছি এই ভেবে যে দেশ আধুনিক হয়েছে, সিঙ্গাপুর হয়ে গিয়েছে, কিন্তু মানুষের জীবনের নূন্যতম নিরাপত্তা নাই এই দেশে। উন্নয়নের নামে এই সরকার শুধু অর্থ কামাই করছে ও চুরি করছে। সীতাকুন্ডের ঘটনাই বলে দেয় দেশে কি উন্নয়ন হয়েছে।

রোববার ৫ জুন দুপুরে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনাকালে তিনি এই মন্তব্য করেন তিনি।

নবনির্মিত পদ্মাসেতুর প্রথম ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদাজিয়া মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ পদ্মাসেতুকে নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি মনেকরে। তবে পদ্মা সেতু কারো একক সম্পত্তি না। সম্মিলিত রাষ্ট্রীয় প্রচেষ্টায় তৈরী হয়েছে। এই পদ্মাসেতুর প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। একই সাথে মাওয়ার পাড়ে ও ফরিদপুর সাইটে তিনি ভিত্তিপ্রস্থরস্থাপন করেছিলেন।

তিনি বলেন, যমুনাসেতুর কাজও করেছে বিএনপি। তবে তারা ক্ষমতায় বসেই সব কৃতিত্ব নিজের বলে দাবি করতে শুরু করে। একজনের নামেই সকল ব্যানার, ফেস্টুন ও মূর্তি তৈরী হয়েযায়। তারা সেতুর নামটাই পরিবর্তন করে দিলো। বিএনপির অবদান তারা কখনই স্বীকার করেনা।

দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভংগুর হয়ে গিয়েছে অভিযোগ করে তিনি আরো বলেন, আমাদের মন্ত্রীরা শুধু মুখেই কথা বলে উন্নয়ন আর উন্নয়ন। এখন তো পদ্মা সেতু ছাড়া দেশে আর কিছু নেই। কিন্তু অগ্নিকান্ডে যে এতগুলো মানুষের প্রান গেল, এতগুলো মানুষ মৃত্যুর সাথে লড়ছে এর জন্য দায়ি সরকার। করোনার সময় বলেছিলাম দেশে আইসিইউ নাই, অক্সিজেন সরবরাহ নাই, ডাক্তার নাই, নার্স নাই। এখন কিন্তু আবার একই কথা বলতে হচ্ছে। অগ্নিকান্ডে আহতদের চিকিৎসাও ভালো ভাবে হচ্ছে না।

মালেশিয়ায় লোক পাঠানোর জন্য যে সিন্ডিকেট তৈরি করা হয়েছে তার মধ্যে একটা অর্থ মন্ত্রীর স্ত্রীর নামে রয়েছে। এই সরকার কিভাবে সবখানে চুরি করছে সেটা বুঝেন তাহলে। যে দেশে উন্নয়নের নামে চুরি করা হয়, যেখানে দারিদ্রের সংখ্যা বেড়ে ৪২%, সেখানে যদি কেও বলে ইউরোপিয়ান স্টাইলে জীবন যাপন করা হচ্ছে। এটা পরিহাস ছাড়া কিছু না। সাধারণ মানুষকে ছোট করা, পুরো জাতিকে অপমান করা সামিল।

দেশে আজ যা হচ্ছে তাতে বড় বড় উন্নয়নের লেকচার দিয়ে আর মনভোলানো কথা বলে দেশের মানুষকে দাবিয়ে রাখা যাবেনা। দেশের মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সহ খাদ্য দ্রব্যের মূল্য বাড়ছে। দেশের জনগনের পেটে লাথি পরছে। দেশের মানুষ জেগে উঠলে এবার ওবায়দুল কাদেররাই মাঠ ছেড়ে পালাবেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদ মির্জা ফয়সাল আমিন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ প্রমূখ।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image