• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৭ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

পীরগঞ্জে খাল খনন কর্মসুচী জমি হারাচ্ছে অনেক কৃষক


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:০০ পিএম
পীরগঞ্জে জমি হারাচ্ছে অনেক কৃষক
খাল খনন

বখতিয়ার রহমান, পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) খাল খনন কর্মসুচীর কারনে ব্যাক্তিগত জমি হারাচ্ছে পীরগঞ্জের অনেক কৃষক। এ ব্যাপারে কৃষকেরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়েও ফল পাচ্ছেন না। এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার শানেরহাট ও পীরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের শাটেক-বাটেক খাল এবং টুকুরিয়া ইউনিয়নে কথিত মরা নদী খননের ক্ষেত্রে । 

সংশ্লিষ্ট একাধিক সুত্রে জানা গেছে, পীরগঞ্জের সংসদ সদস্যর ডিও লেটারের পরিপ্রেক্ষিতে পাউবো পীরগঞ্জে যাচাই-বাছাই করে মাত্র ৪২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য খাল/নদী খননের নক্সা প্রস্তুত করে। এতে ব্যায় নির্ধারন করা হয় প্রায় ১'শ ৬৫ কোটি টাকা । ঠাকুরগাঁও জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান 'মেসার্স মো: জামাল হোসাইন' নক্সানুযায়ী পীরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের হিলি মৌজায় সাটেক-বাটেক খালটি খনন শুরু করে। 

খালটির অংশ হিসেবে শানেরহাট ইউনিয়নের রাউৎপাড়া গ্রামের বিধবা আবেদা বেগম এবং তার ভাসুরের নিজস্ব জমিও খাল খননের আওতায় নিয়ে আসা হয়। অথচ সিএস ও এসএ রেকর্ডের মৌজার মানচিত্রে ওই জমিতে নদী, খাল, জলাশয় বা খাস জমির অস্তিত্ব নেই। খননের সময় আবেদা বেগমের পুত্রবধূ শায়লা বেগম, তাদের বর্গাচাষী হায়দার আলী সহ কয়েকজন বাঁধা দিলেও ঠিকাদারের লোকজন নানান হুমকি দিয়ে খালটি খনন করে। এতে তাদের প্রায় ৫০ শতাংশ জমিতে খনন এবং মাটির স্তুপ করা হয়। এ ঘটনায় আবেদা বেগমের ছেলে আছাদুর রহমান রংপুর পাউবো সহ বিভিন্ন মহলে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেও কোন ফল পাননি।

একই অবস্থা টুকুরিয়া ইউনিয়নের জনমপুর গ্রামের কথিত মরা নদী খনন কাজ নিয়েও । এলাকাবাসী সপ্তাহ খানেক সেখানে খনন কাজ আটকে দিয়েছে। এখন সেখানে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক পীরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের হিলি গ্রামের হায়দার আলী বলেন, আমরা আমাদের আবাদী জমি রক্ষার চেষ্টা করেও সফল হতে পারছি না। ঠিকাদারের লোকজন জোড় পুর্বক আমাদের নিজস্ব জমি খনন করছে ।  

টুকুরিয়া ইউনিয়নের জনমপুর গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকায় মরানদী খননে আমাদের কৃষকদের ফসলী জমি নষ্ট হচ্ছে। তাই আমরা খাল খনন আটকে দিয়েছি। আমাদেরকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এবং ঠিকাদারের লোকজন মামলার হুমকি দিচ্ছে। 

এ ব্যাপারে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (এক্সইএন) রবিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ডিজাইন পেয়ে খনন করছি। ক্ষতিগ্রস্থের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত অভিযোগের তদন্ত করা হয়েছে।

রংপুর পাউবোর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবিব গণমাধ্যমকে বলেন, লোকবল কম থাকায় প্রতিটি এলাকায় গিয়ে যাচাই-বাছাই করে নক্সা তৈরী সম্ভব হয়নি । তাই কৃষকের কিছু জমি খাল খননের আওতায় এসেছে। আমরা এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের কাছ থেকে অভিযোগও পেয়েছি। তদন্তও করা হয়েছে।এখন কিছুই করার নেই। তবে খননের সময় বাঁধা দিলে কৃষকরা উপকৃত হতেন। 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image