
নিউজ ডেস্ক : ২০২৬ সালে উত্তরণের পরেও স্বল্পোন্নত দেশ থেকে অর্থাৎ এলডিসি গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন হলেও শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা ভোগ করতে পারবে বাংলাদেশসহ গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করা অন্যান্য দেশ।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সাধারণ সভায় সোমবার (২৩ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের নীতিগত সমর্থন দিয়েছেন সদস্যরা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবু ধাবিতে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ডব্লিউটিওর মন্ত্রীপরিষদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সংস্থাটি।
পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে আসার পর ২০২৬ সালের নভেম্বর থেকে বাণিজ্যে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বিশেষ সুবিধা হারানোর কথা থাকলেও আপাতত এ ধরণের কোনো কিছু ঘটছে না বলে জানিয়েছে ডব্লিউটিও। তবে ঠিক কতদিন পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে এলডিসি গ্রাজুয়েশনভুক্ত দেশগুলো এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা উল্লেখ করেনি সংস্থাটি।
উক্ত সভায় ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক এনগোজি ওকোনজো ইয়েলা বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর উন্নত দেশ হওয়ার যাত্রা যাতে সহজ হয় তাই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এলডিসি গ্রাজুয়েশন করে দেশগুলো যাতে অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে না পড়ে সে বিষয়ে ডব্লিউটিও সচেষ্ট।
বাংলাদেশসহ এলডিসি গ্রাজুয়েশন প্রত্যাশী দেশগুলো শুল্কমুক্ত সুবিধা আরও ছয় বছর বাড়ানোর জন্য ডব্লিউটিওকে প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। মূলত করোনা পরবর্তী ধকল এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক মন্দাভাবের কারণে আরও সময় চাচ্ছিল এসব দেশ।
ডব্লিউটিওর এলডিসি গ্রুপের সমন্বয়ক কাদরা আহমেদ হাসান বলেন, সবদিক ভেবেচিন্তে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পথে থাকা দেশগুলোর জন্য যা ভালো সেই সিদ্ধান্তই নেয়া হবে। এমনও হতে পারে শুল্কমুক্ত এ সুবিধার সিদ্ধান্ত আগামী বছর ফেব্রুয়ারির আগেই চূড়ান্ত করতে সক্ষম হবে ডব্লিউটিও।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: