• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০২ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

চেতনায় সাম্প্রদায়িকতা লালন করে সম্প্রীতির মডেল হওয়া যায়না!


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ আগষ্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:০০ পিএম
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীকী ছবি

শিতাংশু গুহ, নিউইয়র্ক।। বাংলাদেশের মানুষ হিন্দুর ওপর অত্যাচারকে সাম্প্রদায়িকতা মনে করেনা, তাই দেশ ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির’ অন্যন্য দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশের প্রশাসন মূর্তিভাঙ্গা বা মন্দির আক্রমনকে অপরাধ মনে করেনা, তাই গত বাহান্ন বছরে হাজার হাজার মূর্তিভাঙ্গা বা মন্দির আক্রমনের পরও কারো বিচার হয়নি, বা এ অপরাধে কেউ সাজা পায়নি।

কিছু ভুল বলিলাম? আজকাল অনেকেই বুক ফুলিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রোল মডেল’। এ মিথ্যাচার ঠিক কখন শুরু হয়েছিলো, এবং কেন? পাকিস্তান আমলে কেউ একথা বলতো না, কারণ দেশটি ছিলো একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধু’র সময়ও একথা উঠেনি। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, এদেশ হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, সবার। আমরা সবাই বাঙ্গালী।

প্রেসিডেন্ট জিয়া সাম্প্রদায়িক বীজ বপন করেন, তখন নির্বাচনকালীন হিন্দু’র ওপর অত্যাচার শুরু হয়, জাতি একটু-আধটু ‘সম্প্রীতির’ কথা শুনতে শুরু করে? এরশাদের আমলে আমরা শুনতে পাই, বাংলাদেশ একটি ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ’? ইতিমধ্যে সংবিধানে ৫ম, ৮ম সংশোধনী ঢুকেছে, সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্পে দেশ ছেঁয়ে গেছে, আর জাতি শুনছে ‘সম্প্রীতির’ গান!

খালেদা জিয়ার প্রথমবার শাসনামলে মন্ত্রীরা সম্প্রীতির গান গেয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রথমবার শাসনামলে (১৯৯৬-২০০১) মন্ত্রীরা এখনকার (২০২৩) মত ঘনঘন বলেননি যে, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রোল মডেল। আওয়ামী লীগ জোরেশোরে এ মিথ্যাচার করছে ২০১২’র রামু’র ঘটনার পর থেকে। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ এর অসাম্প্রদায়িক চরিত্র হারায়।

সংখ্যালঘুর ওপর অত্যাচার যত বাড়ছে, সম্প্রীতির মডেল শ্লোগানও তত বাড়ছে! সাম্প্রদায়িক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ঢাকতে বা ধুম্রজাল সৃষ্টি করতে এমন মিথ্যাচার করতে হয়, ষোলআনা মিথ্যা জেনেও এটি বলতে হয় বৈকি! বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশ কখনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মডেল ছিলোনা, এখনো নয়। পঞ্চম ও অষ্টম সংশোধনী ললাটে ধারণ করে অসাম্প্রদায়িক হওয়া যায়না।

অসম্প্রদায়িক হওয়ার প্রথম শর্ত বাহাত্তরের সংবিধান। এটি নেই মানে রাষ্ট্রটি কমবেশি সাম্প্রদায়িক। ‘মদিনা সনদে’ রাষ্ট্র চলছে। মদিনা শহরে অমুসলমানদের প্রবেশ নিষেধ। বাংলাদেশে বেশিদিন মদিনা সনদ চললে হিন্দু-বৌদ্ধরা কমতে কমতে একদিন শূন্য হয়ে যাবে। সুপ্রিমকোর্ট ৭২-র সংবিধানে ফেরার সুযোগ করে দিয়েছিলো, আওয়ামী লীগ গ্রহণ করেনি।

বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক দল অসাম্প্রদায়িক নয়, কম্যুনিষ্ট পার্টিও নয়? জনগোষ্ঠীর ক্ষুদ্র একটি অংশ অসাম্প্রদায়িক হলেও কথা বলতে পারছেন না? যুব সমাজের একটি অংশ ধর্মের গন্ডি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে, তাদের ‘নাস্তিক’ আখ্যা দিয়ে দেশছাড়া করা হচ্ছে। দেশে অধিকাংশ মানুষ এখন সাম্প্রদায়িক। চেতনায় সাম্প্রদায়িকতা লালন করে সম্প্রীতির মডেল হওয়া যায়না!

# guhasb@gmail.com;

ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি

আরো পড়ুন

banner image
banner image