
নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া সফররত উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন দেশটির মহাকাশ, সামরিক ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেছেন। আজ শনিবার তিনি প্রিমোরস্কি অঞ্চলে রুশ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘কিনঝাল’ ও পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ঘুরে দেখেন। খবর আলজাজিরার।
রাশিয়ার প্রিমোরস্কি অঞ্চলের গভর্নর ওলেগ কোঝেমিয়াকো জানান, এদিন ভ্লাদিভস্তক থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে আর্টিয়ম শহরে যান কিম। এক ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যক্তিগত ট্রেন থেকে নামছেন হাস্যোজ্জ্বল কিম। তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানাচ্ছে শিশুরা। এরপর তিনি ভ্লাদিভস্তক বিমানবন্দরে যান। সেখানেই তাঁকে পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান দেখানো হয়। এ সময় রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সারগেই শুইগু ও অন্য সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘কিনঝাল’ ৪৮০ কেজি ওজনের বস্তু নিয়ে দেড় থেকে দুই হাজার কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। এটি শব্দের চেয়ে ১০ গুণের বেশি গতিতে উড়তে পারে।
তুরস্কের পাঁচ প্রতিষ্ঠান ও এক তুর্কি নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বাইডেন প্রশাসন। রাশিয়ার ওপর আরোপিত অবরোধ এড়াতে সহায়তা করা ও মস্কোকে সমর্থনের জন্য স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার তাদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। রয়টার্স জানায়, নিষেধাজ্ঞা পাওয়া কোম্পানিগুলো জাহাজ নির্মাণ ও বাণিজ্য-সংশ্লিষ্ট, যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় থাকা রুশ জাহাজ সংস্কারে সহায়তার অভিযোগ রয়েছে।
এ পদক্ষেপের কারণে যুক্তরাষ্ট্র-তুরস্ক সম্পর্ক কতটা প্রভাবিত হবে, তা অনুমান করা যাচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সরকারের সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের সম্পর্ক অনেক দিন থেকেই খুব একটা ভালো চলছে না। এরদোয়ানের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সুসম্পর্ক রয়েছে বলেও জানা যায়। তবে ন্যাটো জোটভুক্ত দেশ তুরস্কের সাম্প্রতিক নির্বাচনে এরদোয়ান জয়ী হওয়ার পর বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছেন, যেগুলো ছিল সরাসরি রাশিয়াবিরোধী। এর মধ্যে রয়েছে ফিনল্যান্ড, সুইডেনকে ন্যাটো জোটে সমর্থন। নির্বাচনের পর তুরস্ক সফর করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সফরকালে তাঁর ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আগ্রহকে জোরালো সমর্থন করেছেন এরদোয়ান।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: