• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

রাজনীতি ‘অতি উৎসাহী’ পুলিশের তালিকা তৈরির নির্দেশ


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১২:৫৪ পিএম
শতাধিক নেতাকর্মীকে মারধর ও আহত করেছে
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

নিউজ ডেস্ক:   বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন পীড়নে ‘অতি উৎসাহী’ পুলিশ সদস্যদের তালিকা তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া চট্টগ্রামে বিভাগীয় মহা সমাবেশে যাওয়ার সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারী সরকার সমর্থক সন্ত্রাসীদের তালিকা তৈরির নির্দেশও দিয়েছেন ।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) চট্টগ্রামে বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করেন, বুধবার চট্টগ্রামে বিএনপি’র মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ বাসাবাড়িতে গিয়ে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে এবং শতাধিক নেতাকর্মীকে মারধর ও আহত করেছে। নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে গিয়ে অযথা হয়রানি, মারধর ও ভাংচুর করা হলে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা দেন ডা. শাহাদাত।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, পুলিশের গুলিতে ৫ নেতাকর্মী নিহত ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ পরবর্তী সামগ্রিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে নগরীর নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলটি। এতে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  

সংবাদ সম্মেলনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী অভিযোগ করেন, কিছু কিছু ‘অতি উৎসাহী পুলিশ’ সমাবেশের আগের রাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান করেছে, অনেককে গ্রেফতার করেছে। পরবর্তীতে বুধবার সমাবেশে আসার পথে আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী অনেক জায়গায় আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বারে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর আঘাত করেছে, গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছে, পুলিশ নিজেরাই বন্ধ করেছে, আবার মোবাইল কোর্ট বসিয়েও বন্ধ করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আমাদের নেতাকর্মীদের অফিস ভাঙচুর করেছে।

তিনি বলেন, অতি উৎসাহী পুলিশের উদ্দেশে বলতে চাই- বাংলাদেশের সংবিধানে সভা-সমিতি করা অধিকার দেওয়া আছে। চাকরিতে ঢোকার সময় সেই ওয়াদা করেই আপনারা এসেছেন, সেই ওয়াদাগুলো আবার পড়ে দেখবেন। কারণ আপনারা ওয়াদাভঙ্গ করে বারবার একই কাজ করতে থাকলে জনগণ আর মানবে না। তখন সমস্ত পুলিশ বাহিনীর ওপর এ দায় এসে পড়বে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু কিছু অতি উৎসাহী সদস্যের দায় সমস্ত পুলিশ বাহিনী কেন নেবে। র‌্যাবের কিছু সদস্যের কর্মকাণ্ডের জন্য র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা চলে এসেছে। নিশ্চয়ই বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী চাইবে না, কিছু অতি উৎসাহী দলীয় আওয়ামী মার্কা সদস্যের দায় বহন করতে।

সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবীর রিজভী বলেন, শুনেছি, মীরসরাইয়ের এক চেয়ারম্যান বলেছেন, যারা এই সমাবেশে যাবে তারা আর বাড়ি ফিরতে পারবে না। আওয়ামী লীগের সময় কখনোই মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, নাগরিক স্বাধীনতা সুরক্ষিত হয়নি। পৃথিবীর যে কোনো দেশ, যেখানে ন্যূনতম গণতন্ত্র আছে, সেখানে এমন ঘটনা হলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হতো। এতো হিংসাশ্রয়ী ব্যক্তি, কে এই চেয়ারম্যান, এত ঔদ্ধত্য তার। সরকার তাকে গ্রেফতার না করে প্রশ্রয় দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ভিপি জয়নাল আবেদিন, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, দক্ষিণ জেলার আহবায়ক আবু সুফিয়ান, নগর কমিটির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image