• ঢাকা
  • বুধবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২২ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ঢাকঢোলের তালে দুর্গার বন্দনা শুরু


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ০১ অক্টোবর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০১:০৭ পিএম
দুর্গার বন্দনা শুরু
ঢাকঢোলের তাল

নিউজ ডেস্ক : ষষ্ঠীর দিনের পূজা শনিবার সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে দেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। সিদ্ধেশ্বরী ছাড়াও ঢাকা ও সারা দেশের সব মন্দিরের প্রায় কাছাকাছি সময়ে শুরু হয়েছে ষষ্ঠী পূজার আয়োজন।

উলুধ্বনি, শঙ্খ, ঘণ্টা আর ঢাকঢোলের বাজনার মধ্য দিয়ে শুরু হলো ষষ্ঠীপূজা। শুরু হলো বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।

শনিবার সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে দেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ষষ্ঠীর দিনের পূজা। সিদ্ধেশ্বরী ছাড়াও ঢাকা ও সারা দেশের সব মন্দিরের প্রায় কাছাকাছি সময়ে শুরু হয়েছে ষষ্ঠীপূজার আয়োজন।

এ সময় ঢাকঢোলের বাজনা, কাঁসা, শঙ্খের আওয়াজ এবং ভক্তদের উলুধ্বনিতে দেবী দুর্গাকে পৃথিবীতে স্বাগত জানানো হয়। সন্ধ্যায় হবে দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস। বোধন অর্থ জাগ্রত করা। মর্ত্যে দুর্গার আবাহনের জন্য বোধনের রীতি প্রচলিত রয়েছে।

এ দিন কল্পারম্ভ দিয়ে শুরু হয় দুর্গার বোধন। ষষ্ঠীর সকালেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। তার পর দেবীর সামনে প্রার্থনা করা হয় যে, ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত গোটা পূজা পর্বে যেন কোনো বিঘ্ন না ঘটে।

শ্বশুরবাড়ি কৈলাস থেকে কন্যারূপে দেবী দুর্গা বাপের বাড়ি বেড়াতে মর্ত্যলোকে এসেছেন। আর এর মাধ্যমেই শুরু হলো দুর্গাপূজার মূল আয়োজন।

মহানগরের সব মন্দিরের মণ্ডপ শনিবার সন্ধ্যায় উন্মুক্ত করা হবে বলে জানান আয়োজক কমিটি।

ষষ্ঠীপূজা উপলক্ষে সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে সকাল থেকেই মানুষের ঢল নামে। এ সময় উৎসব-আনন্দে মেতে ওঠে শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সী মানুষ। মন্দিরের প্রবেশ পথে নারী ও পুরুষের জন্য রয়েছে আলাদা লাইন।

ষষ্ঠীর সকালে সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে পূজা দিতে আসা মৌসুমি রায় বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। ষষ্ঠীপূজার সকালে মন্দিরে না এলে পূজার আনন্দ অনুভব করা যায় না।’

একই কথা বললেন রঘুনাথ পাল, ‘দুর্গাপূজায় সবচেয়ে বেশি আনন্দ হয় ষষ্ঠীপূজায়। কেননা এই দিনেই দেবী দুর্গা পৃথিবীতে আসেন। তাই তো পূজার প্রথম দিনেই মন্দির আর দেবী দর্শনে চলে আসি।

পূজা উপলক্ষে নতুন রূপে সেজে উঠেছে ঢাকেশ্বরী মন্দিরসহ রাজধানীর অন্যসব মন্দির। ঢাকা মহানগরের মধ্যে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের প্রধান আকর্ষণ থাকে এই মন্দির। সেই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের মন্দিরেও দুর্গাপূজায় থাকছে বিশেষ আয়োজন। ঐতিহ্যবাহী বনানী মাঠে আয়োজিত দুর্গা মণ্ডপে সাজানো হয়েছে আরও সুন্দর রূপে।

প্রতিবারের মতো এবারও প্রস্তুত করা হয়েছে মহামায়া দেবী দুর্গাসহ লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশসহ বিভিন্ন দেব-দেবীর প্রতিমা। সন্ধ্যায় ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্য বাহারি সব রং দিয়ে সাজানো হয়েছে এসব প্রতিমা। রং- বেরঙের আলোকসজ্জা আর নানা রঙের ডিজাইনের কাঠামো দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো পূজাঙ্গন।

সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা ও পুরান ঢাকার সব মন্দিরগুলোতে সন্ধ্যারতি, ধূনচী নাচসহ পূজার পাঁচ দিনই থাকছে নানা আনুষ্ঠানিকতা। এ ছাড়া রামকৃষ্ণ মিশন, মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির, শাঁখারীবাজার, রমনা কালীমন্দির।

পুরান অনুযায়ী, এবার দেবী মর্ত্যে এসেছেন গজে চেপে। পুরাণ অনুযায়ী, দুর্গা গজে চড়ে এলে সুখ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনেন। আর ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে দেবী মর্ত্য ছাড়বেন নৌকায় চড়ে। নৌকায় গমনেও ধরনী হবে শস্যপূর্ণ তবে থাকবে অতিবৃষ্টি বা বন্যা।

পঞ্জিকা অনুযায়ী, শনিবার মহাষষ্ঠীতে সকালে দুর্গা দেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ এবং ষষ্ঠীবিহিত পূজা, সন্ধ্যায় দেবীর বোধন। রোববার মহাসপ্তমীবিহিত পূজা, সোমবার মহাষ্টমীবিহিত পূজা, মঙ্গলবার মহানবমীবিহিত পূজা এবং বুধবার দশমীবিহিত পূজা সমাপন এবং প্রতিমা বিসর্জন।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image