
নিউজ ডেস্ক: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গ্রামীণ মেলার শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) উপজেলার পৌর এলাকার কৃষ্ণদিঘী গ্রামে এ মেলা বসেছে। এর মধ্য দিয়ে তাড়াশের বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের গ্রামীণ মেলার শুরু হলো বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলা জুড়ে প্রায় ৪০টির মতো গ্রামীণ মেলা বসে। এর মধ্যে বারুহাস মেলা, গুড়মা মেলা, বিনসাড়া মেলা, কুন্দইল মেলা, রানীর হাট মেলা ঐতিহ্যবাহী ও উল্লেখযোগ্য। চৈত্রের মাঝামাঝি শুরু হয়ে বৈশাখ মাসব্যাপী মেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষ্ণদিঘী হাটের জায়গা জুড়ে মেলার দোকান বসেছে। মেলায় রঙিন ঝুড়ি, খৈয়ের মুড়কি, চিনির সাজ, বাতাসা, খাগড়াই, গজা, মিষ্টি, জিলাপি, মাছ, মাংস, কাঠের আসবাবপত্র, মাটির তৈরি জিনিসপত্র ও নানা রকমের খেলনা বেচাকেনা হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলায় মানুষের ভিড়ও বাড়তে থাকে।
স্থানীয়রা জানান, রমজান মাসে মেলা হচ্ছে। তারপরও মেলা উপলক্ষে গ্রামের প্রায় বাড়িতেই আত্মীয়স্বজন এসেছে। মেলা থেকে দই, মিষ্টি কেনা হয়েছে। মাছ, মাংসেরও রান্না হয়েছে বাড়িতে। ইফতার করে পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়েরা বসে একসঙ্গে খাব। মেলার দিন আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ বয়ে চলেছে।
মেলার কয়েকজন দোকানি বলেন, বিকালে মেলায় অনেক লোকের সমাগম ঘটেছে। বেচাকেনাও ভালো হয়েছে শেষ পর্যন্ত।
উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, মেলা উৎসব হলেও গ্রামীণ জনজীবনের সংস্কৃতির অংশ। আধুনিক যুগেও গ্রামীণ মেলার বেশ কদর রয়েছে সমাজে।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: