আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এ পর্যন্ত তাইওয়ানজুড়ে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শেষ করেছে চীন। কিন্তু এক দিন পর বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) তাজা গুলি ছোড়ার আরেকটি মহড়া দিয়েছে তাইপে। এতে তাইওয়ান প্রণালিতে উত্তেজনা চরম রূপ নিয়েছে।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থল ও আকাশপথে সামরিক মহড়া দেয় চীন। তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে বেইজিং।
তাইওয়ানের অভিযোগ, পেলোসির সফরকে মহড়া দেয়ার অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করেছে চীন। এমনকি তাইওয়ানে হামলা চালানোর অনুশীলনও করা হয়েছে।
তাইওয়ানের অষ্টম সেনা ইউনিটের মুখপাত্র লোও ওয়েই-জি বলেন, আত্মরক্ষার মহড়ার অংশ হিসেবে সংকেতশিখা লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হাউইটজার মর্টার দিয়ে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় দক্ষিণাঞ্চলের সবশেষ প্রান্ত পিংটাংয়ে শুরু হয় এই মহড়া।
উপকূলীয় এলাকা থেকে হাউইটজার এনে পাশাপাশি জড়ো করা হয়। এরপর সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা সাগরে একের পর এক গোলাবর্ষণ করে। মঙ্গলবারও একই অঞ্চলে একই ধরনের মহড়া দিয়েছে তাইওয়ান। এতে কয়েকশ সেনাকে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে।
তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী বলছে, চীনের যুদ্ধখেলার জবাবে তারা এই মহড়া দেয়নি; বরং আগে থেকেই এই মহড়ার সময় নির্ধারণ করে রেখেছিল। লোও ওয়েই-জি বলেন, ‘দুটি উদ্দেশ্য সামনে রেখে আমরা এই মহড়া দিয়েছি। কামান সঠিক অবস্থায় আছে কি না, তা যাচাই করা। আর তার রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করা।’
এর আগে বুধবার সামরিক মহড়া শেষ করার ঘোষণা দিয়েছে চীন। এক ঘোষণায় বলছে, তাইওয়ান প্রণালিতে চীনের সামরিক বাহিনী তাদের বিভিন্ন কার্যপ্রণালি সঠিকভাবে সম্পাদন করেছে। এ ছাড়া জলসীমায় নিয়মিত টহল চালিয়ে যাওয়ারও অঙ্গীকার করেছে চীন।
তাইওয়ান নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর সেখানে কোনো সেনা কিংবা প্রশাসক না-পাঠানোর অঙ্গীকার থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে চীন।
এর মধ্য দিয়ে আগে দ্বীপাঞ্চলটিকে যে পরিমাণ স্বায়ত্তশাসন দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল, তা-ও কমিয়ে আনা হয়েছে। তাইওয়ান ঘিরে নজিরবিহীন সামরিক মহড়ার পর অঞ্চলটি নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে চীন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: