• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কুলিয়ারচরে বিএডিসি' র বিধান অমান্য করে অন‍্যের সেচের সেচ প্রকল্প


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ আগষ্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৩০ এএম
বিএডিসি' র বিধান অমান্য করে
অন‍্যের সেচের সেচ প্রকল্প

সোহানুর রহমান সোহান ভৈরব প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ :  বিএডিসির বিধান অনুসারে একটি সেচ প্রকল্পের নিদির্ষ্ট দুরত্ব সীমার ভেতর অন্য কেউ সেচ প্রকল্প দিতে পারে না । কিন্তু সেই প্রকল্প বিাধান অমান্য করে কুলিয়ারচরের ছয়ছূতি এলাকায় একজনের অনুমদিত সেচ প্রকল্পের সীমানার ভেতর অপর দুই ব্যক্তি সেচ প্রকল্প দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ।

 এর বিরুদ্ধে উপজেলা সেচ কমিটির কাছে আবেদন করার পর দ্বিতীয় ব্যক্তির লাইসেন্স বাতিল হবার পর আবার ও পরিমাপ কারচুপি করে সীমানার ভেতর নতুন করে সেচ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় র্পৃবেকার সেচ প্রকল্পের মালিক মো: শহিদুল্লাহ ১৬ আগস্ট  মঙ্গলবার জেলা প্রসাশক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে ছয়সুতি ইউনিয়নের কলাকুপা গ্রামের শহিদুল্লাহ যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে ছয়ছূতি মৌজার ৯৫৯৫ এবং ৯৫৯৬ নং দাগের জমিটি পল্লী বিদ্যুৎ  সমিতি থেকে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে বিদুৎ লাইন নিয়ে সেচ কমিটির মাধ্যমে দু‘টি  বিদ্যুৎ চালিত  সেচ মটর স্থাপন করে চাষাবাদ চালিয়ে যাচ্ছিলেন । কিন্তু ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর মো:ইয়াছিন মিয়া নামে অপর একটি ব্যক্তি শহিদুল্লাহর প্রকল্পের সীমানার ২‘শ ৫০ ফুটের  ভেতর বিএডিসির লাইন আইন অমান্য করে ৯৫৯৮ দাগের দাগের জমিতে লাইসেন্স নেন ।

অথচ ২০১৯ সালের ২৫ মের বাংলাদেশ গেজেট মোতাবেক বিএডিসির বিধান অনুসারে নলকূপের কিউসেক ক্ষমতা অনুযায়ী দু‘টি নলকূপের দুরত্ব সর্বনিম্ন ২৫০ মিটার থেকে ৮‘শ মিটার হবার কথা । ফলে ইয়াছিনের সেচ প্রকল্পের বিরুদ্ধে উপজেলা সেচ কমিটির কাছে শহিদুল্লাহ আবেদন করলে ইয়ছিনের লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায় । এর পর ৪ জানুয়ারী শহিদুল্লাহর ৮‘শ ফুট দুরত্বে ইয়াছিন মিয়ার জমি অছে দাবি করে সেচ কমিটির কাছে আবার আবেদন করলে তদন্ত কর্মকর্তা ৭৫০ ফুট কে ৮‘শ ফুট বানিয়ে ৯৫৬৭ দাগের জমিতে তাকে সেচের অনুমতি   দেয় বলে লিখিত অভিযোগ উল্লেখ্য করা হয়েছে ।

গত বছর ২৪ জানুয়ারি ইয়াছিনের ছোট ভাই সহিদ মিয়ার নামে ৪৫০ ফুটের মধ্যে ৯৫৭৪ দাগের সেচ কমিটির লাইসেন্স নং ৮০ অনুমোদন দেয় । গত ৩১/০২/২০২০ সালে ৬৫০ ফুটের বেতর মো;কালাম মিয়া নামে আরও একটি লাইসেন্স দেয়া হয়েছে তাও বিএডিসির আইনের পরিপন্থি । পল্লী বিদ্যুৎ লাইন ও র্নিমাণ করে দেয় ।  পরবর্তী বিএডিসির কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে গত ২ জুন সেচ লাইন বিচ্ছিন্ন করার চিঠি দিলে ও পল্লী বিদ্যুৎ  কর্তূপক্ষ আমলে নিচ্ছে না বলে জেলা প্রসাশকের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে । এখন তারা শহিদুল্লাহর সেচ প্রকল্প সেচের ক্ষেতে বাধা দিয়ে নিজেরা সেচ দিচ্ছেন  বলেও অভিযোগ উল্লেখ্য করা হয়েছে  ।

এলাকার কয়েজন কৃষক জানান বিদ্যুতের প্রথম লাইন শহিদুল্লাহ টানেন,এরপর থকে আমরা তিন ফসল ফলাতে পারি,তিনি আমাদের চলার জন্য রাস্থাও তৈরী করে দিয়েছেন,এখন আমাদের জমির দামও অনেক বেড়েছে।এই বিষয়ে ছয়সুতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান , ইয়াছিন ও শহিদুল্লার বিরোধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত।

এসব বিষয়ে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী  অফিসারের কাছে আবেদন করে ও কোন সুবিচার পাননি । শহিদুল্লাহ অবৈধ সেচ লাইন উচ্ছেদ করে তাকে সেচের সুযোগ করে দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন । কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম লুনাকে এ ব্যাপারে  জানান ,আগামী ২৯ আগষ্ট সভা আছে । সেখানে শহিদুল্লাহর আবেদন পযালোচনা করে  পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন ।
 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image