দুর্গাপুর প্রতিনিধি, নেত্রকোণা: নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় নিবন্ধনহীন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ সময় ১২টি নিবন্ধনহীন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ও ৩টি প্রতিষ্ঠানকে পুরো সিলগালা করা হয়েছে। এছাড়া আরো ১০টি লাইসেন্স থাকা প্রতিষ্ঠানকে নবায়নের জন্য ১মাস সময় বেধে দেয়া হয়।
শনিবার (২৮ মে) বিকেলে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সজীব রায়।
এ উপলক্ষে শনিবার বিকেলে পৌর শহরে অভিযান চালিয়ে নিবন্ধন না থাকায়, সুপার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিরাময় প্যাথলজি ও আফরোজা ডিজিটাল ল্যাব কে সিলগালা করা হয়। এছাড় সেবা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক, সততা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক, নিরাপদ ডায়াগনস্টিক, তাহমিনা ডায়াগনস্টিক, ইডেন ডায়াগনস্টিক, হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক, সোমেশ্বরী ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক, রাফিয়া ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক, তালুকদার ক্লিনিক, জয়া হেলথ কেয়ার ক্লিনিক, পপুলার স্বাস্থ্যসেবা ও বিরিশিরি এলাকার বিশ্বাস ক্লিনিক কে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
লাইসেন্স নবায়নের জন্য মাতৃ এক্সরে ক্লিনিক, মর্ডাণ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সাথী প্যাথলজি, সুসং ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফারিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডিএসকে মাতৃসদন (ল্যাব) ও বিরিশিরি এলাকার অর্ক ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জিবিসি ব্রড ব্যাংক, ইসলাম ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোকে ১ মাসের সময় বেধে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ডা. সজীব রায় বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশ মোতাবেক পৌর শহরের ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা চালিয়েছি।
এ সময় নিবন্ধন না থাকায় ১২টি প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ ও ৩টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করণ সহ ১০টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স নবায়নের জন্য ১ মাস সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। যারা এ আদেশ অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তানজিরুল ইসলাম রায়হান, স্বাস্থ্য পরিদর্শক সুব্রত চক্রবর্ওী, স্যানিটারি ইইন্সপেক্টর আলী আকবর ও থানা উপ-পরিদর্শক আব্দুল হান্নান।
ঢাকানিউজ২৪.কম / সাহাদাত হোসেন কাজল/কেএন
আপনার মতামত লিখুন: