
সুমন দত্ত: বালু মিশ্রিত সুজি বিক্রি করে পুরান ঢাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমীর ভোগ নষ্ট করল বসুন্ধরা গ্রুপ। এমন তথ্য জানা গেছে পুরান ঢাকার সূত্রাপুর এলাকার মুদি দোকানগুলো থেকে। পুরান ঢাকার সূত্রাপুর একটি হিন্দু প্রধান এলাকা। সারাদেশের মতো সেখানে গত ৬ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান পালন করা হয়। জন্মাষ্টমীতে হিন্দুরা ভগবান শ্রী কৃষ্ণকে তালের বড়া, মালপো ও হালুয়া ভোগ নিবেদন করেন। এই তিনটি আইটেম ছাড়া জন্মাষ্টমীর ভোগ কেউ তৈরি করেন না। আর এই তিনটি আইটেম তৈরিতে সুজি পণ্য হিসেবে ব্যবহার হয়।
দুর্ভাগ্যক্রমে জন্মাষ্টমীর কয়েকদিন আগে সূত্রাপুরের বেশিরভাগ মুদি দোকানে প্যাকেট জাত বালু মিশ্রিত সুজি সরবরাহ করে বসুন্ধরা কোম্পানি। যারাই বসুন্ধরার সুজি কিনেছেন তাদের ভোগের প্রসাদ নষ্ট হয়ে যায়। তালের বড়া, মালপো, হালুয়া সব বালুময় হয়ে যায়। কেউ সেগুলো গ্রহণ করতে পারেনি। কোথা থেকে বালু আসলো। এ নিয়ে খোঁজ করলে বসুন্ধরার সুজিতে বালু থাকার প্রমাণ মেলে।
পুরান ঢাকার জাস্টিস লাল মোহন দাস লেন এলাকার বাসিন্দা লতা দেব জানান, বসুন্ধরার সুজিতে বালু থাকবে এটা তাদের ধারণার মধ্যে ছিল না। এই কোম্পানির মাল আগেও তারা কিনেছেন। কখনও খারাপ হয়নি। এবার কেন হলো? তার উত্তর তার কাছে নেই।
ঠাকুর দাস লেনের বাসিন্দা চয়ন দে জানান, জন্মাষ্টমীতে এবার কেউ কিছু খেতে পারেনি। তালের বড়া, মালপো কামড় দিলেই বালু বালু লাগছে। কেউ কিছু খেতে পারেনি। সবার মন খারাপ হয়ে গেছে এই রকম ভোগ দেখে।
সূত্রাপুরের বড় মুদি দোকানদার ফজলুল স্টোরের মালিক বলেন, বসুন্ধরা বালু মার্কা সুজি দিয়েছে তা তারা স্বীকার করেছে। তবে তারা শর্ত দেয় ফেরত দিতে হলে প্যাকেটসহ দিতে হবে। এটা বলে তারা কাস্টমারদের বোকা বানিয়েছে। কারণ প্যাকেট খুলেই তো নষ্ট হবার আলামত বেরিয়ে এসেছে। প্যাকেট বন্ধ করে ফেরত দেবে কীভাবে তারা।
দত্ত ভাণ্ডারের মালিক বলেন, এই সুজির কারণে তিনি অনেক মানুষের কটু কথা শুনেছেন। অনেকে তার ওপর রাগ ঝাড়েন। অথচ এই নোংরা কাজটা করেছে বসুন্ধরা। তাদের কেউ বিচার করতে পারে না।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি
আপনার মতামত লিখুন: