• ঢাকা
  • শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৪ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

আটোয়ারীতে টিসিবি পণ্যের সাথে এবার যুক্ত হয়েছে চাল


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:০৫ পিএম
আটোয়ারীতে
টিসিবি পণ্য

মোঃ ইউসুফ আলী, আটোয়ারী (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে টিসিবি কার্ডের নিয়মিত পণ্যগুলোর পাশাপাশি এবার যোগ হলো চাল। খোলা বাজারে বিক্রি কার্যক্রম ওএমএস-এর জন্য বরাদ্দ করা চাল থেকে পাঁচ কেজি করে দেওয়া হচ্ছে এই কার্ডের উপকারভোগীদের। প্রতি কেজির দাম নেওয়া হচ্ছে ৩০ টাকা। 

বুধবার ও বৃহস্পতিবার (১৯ ও ২০ জুলাই) উপজেলার ৬ ইউনিয়নে টিসিবি’র পণ্য বিতরণ করা হয়েছে। এই টিসিবি পণ্যের সাথে এবার যোগ হয়েছে ৫ কেজি চাল। তবে টিসিবি পণ্যের সাথে এখন আর চিনি দেওয়া হচ্ছে না। চিনি না দেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে, টিসিবি ডিলার মেসার্স মানিক এন্ড ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী বলেন, টিসিবি’র চিনি সরবরাহ না থাকায় ডিলাররা টিসিবি’র উপকারভোগীদের মাঝে অন্যান্য পণ্যের সাথে চিনি দিতে পারছেন না। চিনি দিতে ডিলারদের কোন সমস্যা নেই। টিসিবি বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মুসফিকুল আলম হালিম বলেন, উপজেলায় ৬ ইউনিয়নে মোট ৬,১১৭ জন টিসিবি ফ্যামিলি কার্ডধারী। এরমধ্যে মির্জাপুর ইউনিয়নে ১,২৫৩ জন, তোড়িয়া ইউনিয়নে ৭৮২ জন, আলোয়াখোয়া ইউনিয়নে ১১৫৮ ন, রাধানগর ইউনিয়নে ১২০৬ জন, বলরামপুর ইউনিয়নে ৯২০ জন ও ধামোর ইউনিয়নে ৭৯৮ জন টিসিবি’র উপকারভোগী রয়েছেন। 

উপকারভোগীরা প্রতি কার্ডে ১০০/- টাকা লিটার দরে ২ লিটার সোয়াবিন তেল, ৬০/- টাকা দরে ২ কেজি মসুর ডাল এবং ৩০/- টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল পাচ্ছেন। টিসিবি’র পণ্য বিতরণের সময় একজন সরকারি কর্মকর্তা সার্বক্ষনিক সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে দায়িত্ব পালন করেন। 

টিসিবি বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজেই পর্যবেক্ষণ করেন। ইউএনও বলেন, টিসিবি’র কোন ডিলার ওএমএস এর খাদ্যশস্য বিক্রয়ে কোন প্রকার অনিয়ম করলে বাণিজ্য মন্ত্রনালয় টিসিবি’র ঐ ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বিশ্ব এখন রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধের সংকট ও কভিড মহামারীর সংকট  মোকাবেলা  করছে। এ পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ এ অঞ্চলের মধ্যে অপেক্ষাকৃত ভালো অবস্থানে আছে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগার থেকে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন। তিনি প্রথম তৎকালীন যুদ্ধ পরবর্তী সংকটে টিসিবি’র মাধ্যমে ফ্যামিলি কার্ডে এ ধরনের রেশনিং চালুৃ করেন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বৈশ্বিক সংকটের কথা চিন্তা করে ফ্যামিলি কার্ডের ব্যবস্থা করেছেন। সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবি’র নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পেয়ে ফ্যামিলি কার্ডধারী উপকারভোগীরা মহাখুশি। 
 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image